আজকাল ওয়েব ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে বাংলাদেশের বিতর্কিত সংগীতশিল্পী নোবেল। মাঈনুল আহসান নোবেল। ধর্ষণ ও নির্যাতনের মামলায় ১৯ মে থেকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন তিনি। ফলত, এবারে তাঁর ঈদ কেটেছে কারাগারে। ঈদ উপলক্ষে কারাগারের ভেতরের মাঠে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। সেখানে গান পরিবেশন করলেন নোবেল।
একসময় ‘সা রে গা মা পা’ রিয়েলিটি শো থেকে উঠে আসা তরুণ গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল, তাঁর সুরেলা কণ্ঠে ছুঁয়ে গিয়েছিলেন গোটা উপমহাদেশের শ্রোতাদের হৃদয়। কিন্তু যেভাবে খ্যাতির শিখরে পৌঁছেছিলেন, ঠিক তেমনই দ্রুত তিনি জড়িয়ে পড়েন একের পর এক বিতর্কে। সমালোচনা আর অভিযোগ যেন নোবেলের পরিচয়ের নতুন সংজ্ঞা হয়ে উঠেছিল।
তবে, ১৯ মে রাতে সবকিছুকে ছাপিয়ে যায় এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। রাজধানীর ডেমরা থানার পুলিশ নোবেলকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। অভিযোগ—এক নারীকে সাত মাস ধরে ঘরবন্দি করে রেখেছিলেন তিনি, এবং সেই সময় ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন ওই নারী। পরদিন, ২০ মে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউদ্দিন আহমেদ নোবেলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর নোবেলকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
কিন্তু ঈদ-উল-আজহার দিনে সেই কারাগারে দেখা গেল অন্য এক দৃশ্য। জেলের প্রাঙ্গণে আয়োজিত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গানে ফিরলেন নোবেল। বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ শুরু হয়েছিল অনুষ্ঠানটি। এই বিশেষ দিনে কারা কর্তৃপক্ষ বন্দিদের জন্য আয়োজন করেছিলেন ছোট্ট এক সাংস্কৃতিক পর্ব। সেখানেই মঞ্চে ওঠেন নোবেল। গাইলেন কিংবদন্তি শিল্পী জেমসের গান, সঙ্গে নিজের জনপ্রিয় গান ‘অভিনয়’, ‘ভিগি ভিগি’ এবং ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হয়ে গেলে’। কারা প্রাঙ্গণের বাঁধা ছক ভেঙে যেন মুহূর্তে বদলে গেল আবহ। নোবেলের কণ্ঠে এক ঝলক পুরনো দিনের নস্ট্যালজিয়া, কয়েদিদের চোখে জল আর মুখে হাসি।
হয়তো এই গান গাওয়াই ছিল নোবেলের নিঃশব্দ প্রয়াস—নিজেকে খুঁজে পাওয়ার, নিজের শিল্পী সত্তাকে ফের সামনে আনার। কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল-ফরহাদ বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো-কে জানিয়েছেন, এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নোবেলসহ বন্দীদের গানে সবাই বেশ খুশি হয়েছেন, আনন্দ পেয়েছেন।
