সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ‘স্পিরিট’ এবং নাগ অশ্বিনের ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’র সিক্যুয়েল থেকে দীপিকা পাড়ুকোন সরে দাঁড়ানোর পর থেকেই চলচ্চিত্র জগতে আট ঘণ্টার কাজের শিফট নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। এবার সেই বিতর্কে নিজের মতামত জানালেন সদ্য মা হওয়া অভিনেত্রী কিয়ারা আডবাণী।

১৫ জুলাই সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ারা আ়বাণী ইনস্টাগ্রামে তাঁদের কন্যাসন্তানের জন্মের সুখবর ভাগ করে নেন। আট ঘণ্টার কাজের শিফট নিয়ে কিয়ারা বললেন, “কোনও ইন্ডাস্ট্রিতেই অতিরিক্ত কাজ বা বার্নআউট কারও উপকারে আসে না।”

বাড়িতে হোক বা শুটিং সেটে, তিনটি বিষয়কে তিনি সবসময় গুরুত্ব দিতে চান। সম্মান, ভারসাম্য আর মর্যাদা।
মাতৃত্বের অভিজ্ঞতা নিয়েও খোলামেলা কথা বলেন কিয়ারা। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর বদলে যাওয়া চেহারাও তাঁর চোখ এড়ায়নি। তিনি বলেন, “ডেলিভারির পর এক মুহূর্তে মনে হয়েছিল, ‘আমি এটা আগেও করেছি, আবারও পারব।’ তারপর বুঝলাম, বিষয়টা নিখুঁত শরীর পাওয়ার নয়। যখন নিজের শরীরের দিকে তাকাই, মনে হয়, আমি একজন মানুষ সৃষ্টি করেছি। এর সঙ্গে কোনও কিছুর তুলনা হয় না। এখন আমি যে আকারেই থাকি না কেন, নিজের শরীরকে সম্মান করব। শরীর তোমার জন্য যা করতে পারে, সেটার মূল্য দিতে শেখা জরুরি।”
এর আগে এই বিষয়ে দীপিকার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অজয় দেবগন। ‘মা ’ ছবির প্রচারে তিনি বলেছিলেন, “এমন নয় যে, মানুষ এই দাবি মানতে পারছে না। সৎ নির্মাতাদের এতে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তাছাড়া এখন তো অনেকেই আট-ন’ঘণ্টার শিফটে কাজ করছেন।”

পরিচালক মণিরত্নমও দীপিকার দাবিকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, “এটা একেবারেই ন্যায্য দাবি। আমি খুশি যে ও এই দাবি তুলতে পেরেছে। একজন নির্মাতা হিসেবে কাস্টিংয়ের সময় এই বিষয়টা মাথায় রাখতেই হবে। এটা অযৌক্তিক নয়, বরং একান্ত প্রয়োজন।”



বিতর্কের সূত্রপাত কোথায়?

এই বিতর্ক শুরু হয় যখন সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ‘স্পিরিট’ ছবি থেকে দীপিকা সরে দাঁড়িয়েছিলেন। জানা যায়, শুটিংয়ের সময় দিনে আট ঘণ্টার বেশি কাজ না করার শর্ত দিয়েছিলেন তিনি। পরে এক সাক্ষাৎকারে দীপিকা নিজেই এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, “শুধু আমি একজন নারী বলেই যদি এটাকে জোরাজুরি বা বাড়াবাড়ি মনে হয়, তাহলে তাই হোক।”

এই মুহূর্তে বলিউডে কাজের সময়সীমা ও পরিবেশ নিয়ে যে আলোচনা চলছে, সেখানে কিয়ারার মন্তব্য নতুন করে ফের প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।