নিজস্ব সংবাদাতা: ছোট্ট অস্মিকা দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত। নদীয়ার রাণাঘাট অঞ্চলের এই শিশুর চিকিৎসার খরচের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করছেন বহু মানুষ। এবার ছোট্ট অস্মিকার পাশে দাঁড়াল ব্যারাকপুরের মাননীয় সাংসদ তথা নাট্য ব্যক্তিত্ব পার্থ ভৌমিক এবং তাঁর নাট্যদল নৈহাটি ব্রাত্যজন। শুধু এই শিশুর পাশেই নয়, বিরল রোগে আক্রান্ত আরও একটি শিশু আদ্রিকার পরিবারের পাশেও দাঁড়াল এই নাট্যদল। নৈহাটি ব্রাত্যজন তাদের নবতম প্রযোজনা 'আনন্দ' মঞ্চস্থ করল। সেই অনুষ্ঠানের বিকৃত হওয়া টিকিটের সমস্ত টাকা তুলে দিয়েছেন অস্মিকা ও আদ্রিকার পরিবারের হাতে। অস্মিকার পরিবারের হাতে ৩ লক্ষ ও আদ্রিকার পরিবারের হাতে ৫০ হাজার টাকা আজ তুলে দিলো নৈহাটি ব্রাত্যজন। বাংলা সংস্কৃতি জগতে এ এক নজিরই বটে।
সমাজমাধ্যমেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক ও নৈহাটি ব্রাত্যজনের এই কীর্তি। শমিত ঘোষ নামের ওই নেট নাগরিক লেখেন - “এক নেটিজেন এই ঘটনাটি নিয়ে থিয়েটার নিয়ে আলাদা করে অনেক কিছু লেখার আছে। সে লেখা অন্যদিন। কিন্তু, আজ বাংলার প্রথম থিয়েটার দল হিসেবে নৈহাটি ব্রাত্যজন যে উদ্যোগটা নিল, সেই উদ্যোগকে নতমস্তকে কুর্নিশ। আমরা প্রায় সবাই জানি, নদীয়ার রানাঘাটের ছোট্ট শিশু অস্মিকা বিরল রোগে আক্রান্ত। স্পাইনাল ম্যাসকিউলার আট্রফি'তে আক্রান্ত ১১ মাসের শিশুর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ১৬ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই বাংলার বহু মানুষ ছোট্ট শিশুটির পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও জেঠিয়া অঞ্চলের আরেকটি ছোট্ট শিশু আদ্রিকা গাঙ্গুলিও আক্রান্ত দুরারোগ্য ব্যাধিতে। আজ একটি নাট্য দল হয়ে ছোট্ট অস্মিকা ও আদ্রিকার পাশে দাঁড়াল ব্যারাকপুরের মাননীয় সাংসদ তথা নাট্য ব্যক্তিত্ব পার্থ ভৌমিক এবং তাঁর নাট্যদল নৈহাটি ব্রাত্যজন। আজ নৈহাটি ঐকতানে নৈহাটি ব্রাত্যজন তাদের নবতম প্রযোজনা 'আনন্দ'এর অভিনয় করে। আজকের অভিনয়ে টিকিট বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ সহ, প্রত্যেক অভিনেতা- অভিনেত্রী কলাকুশলী, কারিগরি শিল্পীরা কেউ এই অভিনয় থেকে সাম্মানিক নেননি। তাদের আজকের শো-এর সাম্মানিক অর্থ তাঁরা তুলে দিয়েছেন দুই শিশুর পরিবারের হাতে।
অস্মিকার পরিবারের হাতে ৩ লক্ষ ও আদ্রিকার পরিবারের হাতে ৫০ হাজার টাকা আজ তুলে দিলো নৈহাটি ব্রাত্যজন। বাংলা সংস্কৃতি জগতে এ এক নজিরই বটে। বাংলা থিয়েটারের একটি নাট্যদল হিসেবে 'নৈহাটি ব্রাত্যজন' যে উদাহরণ স্থাপন করল, তা ছড়িয়ে পরুক আরও। আরও বহু নাট্য দল সহ সংস্কৃতিক কর্মী, সঙ্গীত শিল্পীরা যদি এমন উদ্যোগ নেন, তবে হয়তো ছোট্ট শিশুগুলোর পরিবার একটু আশার আলো দেখবে। এই দু:সহ সময়ে এই ঘটনাগুলো আমাদের মনে আশা জাগায়। এখনও বোধহয়, সবটা অন্ধকার হয়ে যায়নি। এখনও আলোর সন্ধান দেন পার্থ ভৌমিকের মতো নাট্য ব্যক্তিত্বরা।”
