আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৪ মার্চ হইচইতে মুক্তি পাচ্ছে মিমি চক্রবর্তী অভিনীত, নির্ঝর মিত্র পরিচালিত ওয়েব সিরিজ 'ডাইনি'। তাঁর আগে ট্রেলার উদ্বোধনের মঞ্চে অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলল আজকাল ডট ইন। সেই সাক্ষাৎকারে, ওয়েব সিরিজে অভিনেত্রীর ভূমিকার বাইরেও নারীদের দৈনন্দিন সংগ্রামের কথা উঠে এল অভিনেত্রীর মুখে। 

ট্রেলার দেখেই বোঝা যায়, নির্ঝর মিত্রের এই নতুন সিরিজে সামাজিক কুপ্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেখা যাবে মিমি চক্রবর্তীকে। সেই প্রসঙ্গেই আজকাল ডট ইনের পক্ষ থেকে অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, "এই ধরনের অন্ধবিশ্বাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ধর্ম ও লিঙ্গ রাজনীতি। শুধু অভিনেত্রী হিসাবে নয়, একজন নারী হিসাবে তাই কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল এই রোল তাঁর কাছে?" জবাবে সোজা ব্যাটে খেললেন প্রাক্তন সাংসদ। বললেন, "একজন মহিলা যখন জন্মায় তখন থেকেই সে এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজকে অনুভব করতে শুরু করে। আমরা কলকাতায় কলেজ করেছি। জানি কেন বাসে দাঁড়িয়ে থাকার সময় মেয়েদের ব্যাগটাকে সামনের দিকে নিতে হয়। শুধু কলকাতা বলে নয়, দেশের যে কোনও প্রান্তেই এই ঘটনা ঘটে। এখান থেকে মেয়েদের বেসিক স্ট্রাগলটা শুরু হয়। এর পর ধাপে ধাপে পুরুষতান্ত্রিকতা, বেতনের অসাম্য, একজন মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হলে কাজ করতে না পারা কিংবা একজন মহিলা সিইও হয়ে চারটে কমান্ড দিলে সেই নিয়ে চারটে বাজে কথাবার্তা হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। এই বিষয়গুলোও সমাজের একেকটি অন্ধকার দিক।"

ডাইনি শব্দটা তাই একদিক থেকে খুব প্রতীকী বলে মনে হয় অভিনেত্রীর কাছে। সময়ের শুরু থেকেই এমনটা হয়ে আসছে বলে মনে করেন তিনি। বলেন, "ইভ টিজিং তো আজ থেকে শুরু হয়নি, সতীদাহ প্রথা কিংবা খনার জিভ কেটে নেওয়ার কথাও শুনেছি। সেটাও তো প্রাচীন ঘটনা। এটা কিন্তু শুধু মেয়েদের ক্ষেত্রেই হয়েছে।"

অভিনেত্রীর মতে, অনেকেই আজকাল 'ফেমিনিজম'কে গালাগাল হিসাবে দেখেন। মেয়েদের নিয়ে কিছু বলতে গেলেও নারীবাদী বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি নিজেকে ফেমিনিস্ট বলে দাবি করেন না বলেই জানান মিমি। তাঁর বক্তব্য, "না, আমরা ফেমিনিস্ট নই। আমরা কেবল সেই জিনিসগুলোর জন্য লড়ছি যেগুলো আমাদের দেওয়া হয়নি। যদি আমাদের সমান হিসাবে গণ্য করা হত, তাহলে তো এই তর্কটাই আসত না। তাহলে তো আমাদের কিছু নিয়ে লড়াই করতেই হত না। লড়াই করতে হচ্ছে তার কারণ নারীদের সাম্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে।"