মুম্বইয়ের অন্ধেরি পশ্চিমের সরেন্টো সোসাইটির ১৪ তলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ওই আবাসনের ১৪ তলায় চলচ্চিত্র নির্মাতা সন্দীপ সিংয়ের বাড়ি। জানা গিয়েছে, তিনি সম্পূর্ণ নিরাপদে রয়েছেন। অভিনেত্রী অঙ্কিতা লোখান্ডে ও তাঁর স্বামী ভিকি জৈন তাঁকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছেন।
হাসপাতাল থেকে সন্দীপের কিছু ছবি এবং ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, দুর্ঘটনায় তিনি আহত হননি এবং সুস্থ আছেন। উল্লেখ্য, এর আগেও সন্দীপ হার্নিয়ার সমস্যায় কোকিলাবেন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এই দুর্ঘটনার পর অঙ্কিতা ও ভিকি তাঁকে তাঁদের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছেন, এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নেটিজেনরা মন্তব্য করেন, ‘দু’জনেই দারুণ কাজ করেছেন। ঈশ্বর আপনাদের সবসময় আশীর্বাদ করুন।’
বৃহস্পতিবার সকালে অন্ধেরি পশ্চিমের একটি ২৩ তলা আবাসনের ১৪ তলায় আগুন লাগে। আগুনের ফলে ঘন ধোঁয়া উপরের তলাগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং বেশ কয়েকজন বাসিন্দা সাময়িকভাবে আটকে পড়েন। পরে সিঁড়ি ব্যবহার করে ১৬ তলার রেফিউজ এরিয়ায় আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন বাসিন্দাকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়।
মুম্বই ফায়ার ব্রিগেড ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে এবং জানিয়েছে যে জরুরি পরিষেবা দল দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে এক আধিকারিক বলেন, “সব আটকে পড়া বাসিন্দাকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে, কেউ আহত হননি এবং আগুন শুধুমাত্র ১৪ তলাতেই সীমাবদ্ধ ছিল।”
কে এই সন্দীপ সিং?
সন্দীপ একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক, যিনি হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজের জন্য পরিচিত। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি একজন সাংবাদিক ছিলেন। পরে ‘লেজেন্ড স্টুডিওস’-এর ব্যানারে ‘আলিগড়’, ‘সরবজিত’, ‘ভূমি’ এবং ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি’-সহ একাধিক জনপ্রিয় ছবি প্রযোজনা করেন।
২০২৩ সালে সামাজিক বার্তাবাহী ছবি ‘সফেদ’-এর মাধ্যমে তিনি পরিচালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন, ছবিটির চিত্রনাট্য ও প্রযোজনাও তাঁরই। অঙ্কিতা এবং ভিকিরও ভাল বন্ধু সন্দীপ। কয়েকমাস আগে যখন ভিকি এক দুর্ঘটনায় আহত হন, তখন সন্দীপ তাঁর পাশে ছিলেন।
সন্দীপ জানিয়েছিলেন, ভিকির হাতে কাঁচের টুকরো ঢুকে যায় এবং তার জন্য তাঁকে প্রায় ৪৫টি সেলাই নিতে হয়। তিনি আরও জানান, ভিকি গত তিন দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
সন্দীপ একটি আবেগঘন নোটে লিখেছিলেন, ‘এক বেদনাদায়ক দুর্ঘটনায় অসংখ্য কাচের টুকরো ভিকির হাতে ঢুকে গিয়েছিল। ৪৫টি সেলাই, তিন দিন হাসপাতাল… তবুও তার মানসিক দৃঢ়তা অটুট। ভিকি এখনও আমাদের হাসাতে সক্ষম। যেন কিছুই ঘটেনি।’
