জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার কুশা কপিলার প্রাক্তন স্বামী জোরাওয়ার সিং আলুওয়ালিয়া সম্প্রতি প্রকাশ্যে জানিয়েছেন যে তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পর ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করা শুরু করেছেন। একটি ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনায় তিনি এই কথা স্বীকার করেন।
জোরাওয়ারকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি ডেটিং অ্যাপে আছেন কিনা, তখন তিনি সোজা উত্তর দেন, "হ্যাঁ, আমি একজন সিঙ্গল মানুষ; তাহলে আমি কেন ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করতে পারব না?"
২০২৩ সালে কুশা কপিলা এবং জোরাওয়ার সিং আলুওয়ালিয়ার বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ২০১৭ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার পর প্রায় ছয় বছর একসঙ্গে ছিলেন এই দম্পতি। একটি যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা বিচ্ছেদের খবর জানিয়েছিলেন।
একই একান্ত আলাপচারিতায় জোরাওয়ার তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে আরও কিছু কথা বলেন। তিনি জানান, তাঁদের বিচ্ছেদ ছিল পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে অর্থাৎ 'মিউচুয়াল'। তিনি বলেন, "আমার মনে হয়, যখন একটি সম্পর্কে কাজ হয় না, তখন দু'জন সঙ্গীই সেই অনুভূতি পান। আমার ক্ষেত্রে, আমরা দু'জন বসে আলোচনা করি যে এই জিনিসগুলি কাজ করছে না, এবং আমরা সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছই ও পারস্পরিকভাবে আলাদা হওয়ার পর বেছে নিই।"
বর্তমান সময়ে বিবাহ কেন দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না, সেই প্রশ্নের উত্তরে জোরাওয়ার একটি সামগ্রিক ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, "বিয়ে কেন কাজ করছে না, তা নিয়ে আমরা কোনও বিচার-বিবেচনা করতে পারি না। তবে মানুষ বুঝতে পারছে যে কখনও কখনও তারা একটি দল হিসাবে কাজ করতে পারে আবার কখনও কখনও পারে না এবং একা থাকাই তাদের জন্য ভাল। আমি একটি স্পষ্ট উত্তর দিতে পারব না। কখনও কখনও আপনি উপলব্ধি করবেন যে আপনি যখন একা চলেন, তখন আপনি আরও বেশি উন্নতি করেন।" তিনি আরও যোগ করেন যে নিজের এবং সঙ্গীর প্রতি সৎ থাকা খুব জরুরি। জোরাওয়ারের মতে, "যদি আপনারা একে অপরের প্রতি সৎ থাকেন তবেই তা ভাল।"
বিচ্ছেদের পর কুশা কপিলার পেশাগত জীবনও বেশ গতি পেয়েছে। তিনি বর্তমানে মুম্বইতে চলে এসেছেন এবং 'সুখী' (২০২৩), 'থ্যাঙ্ক ইউ ফর কামিং' (২০২৩), 'সেলফি' (২০২৩) এবং 'ইশক ভিশক রিবোর্ড' (২০২৪)-এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন। পাশাপাশি, তিনি নিজস্ব শেপওয়্যার ব্র্যান্ড 'আন্ডারনিট' চালু করেছেন এবং গুরুগ্রামে একটি রেস্তোরাঁ 'টর্টে' পরিচালনা করেন।
কুশা এবং জোরাওয়ার উভয়েই তাঁদের জীবনে এগিয়ে চলেছেন। জোরাওয়ারের এই খোলাখুলি স্বীকারোক্তি এটাই প্রমাণ করেছে যে বিচ্ছেদের পরে জীবনের পথে নতুন করে চলার সুযোগ খুঁজছেন তিনি।
