বিগ বস ১৯-এর সাম্প্রতিক পর্বে কুনিকা সদানন্দ সকলকে চমকে দেন। ন তিনি সতীর্থ মালতি চাহার সম্পর্কে বড় দাবি করে বসেন। আর তা থেকেই শুরু যাবতীয় চর্চা। ঘটনার সূত্রপাত যখন তানিয়া মিত্তল কুনিকাকে জানান যে টাস্কের সময় মালতি নাকি তাঁকে একটি প্লেট দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করেছিলেন। তানিয়ার বিরক্তি প্রকাশের পরই কুনিকা তাঁর কাছে গিয়ে বলেন, তিনি নিশ্চিত—মালতি সমকামী।

কুনিক্কা বলেন, “এক কথা বলতে চাই… এই মালতি ম্যাডামকে নিয়ে আমি পুরোপুরি নিশ্চিত যে তিনি লেসবিয়ান। তাঁর হাঁটা-চলন, ভঙ্গিমা, এবং কথা বলার ধরন—সবকিছুই তা-ই বোঝায়। এটা খেয়াল করো।”  তবে তানিয়া এ মন্তব্যে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।

৭৩ তম দিনে বিগ বস ১৯-এর ঘরে উত্তেজনা চরমে ওঠে। তর্ক-বিতর্ক, আবেগের বিস্ফোরণের মধ্যে দিয়ে এপিসোড ছিল টানটান নাটকীয়তায় ভরা। আমাল এবং ফারহানার তীব্র বিতণ্ডা থেকে শুরু করে শেহবাজের বিগ বসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ—সব মিলিয়ে দিনটি ছিল অস্থিরতায় পূর্ণ।

আমাল, ফারহানা এবং গৌরবের মধ্যে সংঘাত বাঁধে গেম স্ট্র্যাটেজি নিয়ে। ফারহানা এবং আমাল প্রশ্ন তোলেন, গৌরব কি কোনও ‘বিগ বস’-এর বাড়ির চার দেওয়ালের মাঝে কোনও ‘চরিত্র’-এ অভিনয় করছেন? উত্তরে গৌরব বলেন, “টানা তিন মাস, ২৪ ঘণ্টা কেউ অভিনয় করতে পারে না।” তর্ক এখানেই থামে না। আলোচনা পরে বাস্তব জীবনের সংগ্রাম এবং ঘরের ভিতরে স্বকীয়তা বজায় রাখার প্রসঙ্গে পৌঁছে যায়।

এরপর আমাল এবং গৌরবের তর্ক আরও তপ্ত হয় জীবনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার প্রসঙ্গ উঠলে । গৌরব বলেন, “যেখানে তোমাদের স্ট্রাগল শুরু হয়, সেখানেই আমাদের অ্যাসপিরেশন।” এর জবাবে আমাল জানান, “আমার বাবা দাব্বু মালিক ব্যর্থ হয়েছিলেন—এটা বলতে আমার কোনও লজ্জা নেই। আমরা রিভার্স নেপোটিজমের ফল।”

তিনি আরও জানান, কীভাবে তাঁর মা ছোটবেলা থেকেই তাঁকে ভরসা দিয়েছেন। আমালের কথায়, “যখন আমি ন’বছরের, মা বলেছিলেন—আমার ছেলে একদিন ভারতের অন্যতম বড় গায়ক হবে।”

 বরাবরের মতো ‘বিগ বস ১৯’এর সাম্প্রতিক পর্বটি ছিল অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ, ব্যক্তিগত জীবনের খোলামেলা স্বীকারোক্তি এবং সম্পর্কের টানাপোড়েনে ভরা। কুনিকা বিতর্কিত মন্তব্য থেকে শুরু করে আমাল–গৌরবের সংঘাত—সব কিছুই প্রমাণ করে, এই সিজনে প্রতিযোগীদের আবেগ, মতভেদ এবং ব্যক্তিগত লড়াই যেন এক নতুন মোড় নিচ্ছে। সামনে আরও কী বিঅপেক্ষা করছে, তা জানতেই মুখিয়ে অনুরাগীরা।