বলিউডে অনস্ক্রিন প্রেমিক-প্রেমিকার রসায়ন যতটা স্বপ্নময়, অফস্ক্রিন প্রেম ততটাই কাঁটা বিছানো, কষ্টকর হতে পারে শুটিং সেটে। আর সেই অভিজ্ঞতা আছে 'ফনাহ' ছবিখ্যাত পরিচালক কুণাল কোহলির ঝুলিতেই। ২০১২ সালে তেরি মেরি কাহানি ছবিতে তিনি একসঙ্গে কাজ করিয়েছিলেন শাহিদ কাপুর ও প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকে। তখন জোর গুঞ্জন—দু’জনের সম্পর্ক নাকি সেটের বাইরেও বেশ ঘনিষ্ঠ। বলিপাড়ায় আজও কান পাতলে শোনা যায়, সেই সময়ে নাকি চুটিয়ে প্রেম করছেন শাহিদ-প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু কোহলির মতে, বাস্তবের প্রেম কখনও সিনেমার শুটিং সহজ করে তোলে না।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক খোলাখুলি বললেন, “মানুষ ভাবে প্রেমে থাকা অভিনেতা-অভিনেত্রী নিয়ে কাজ করা মজার হবে। আসলটা কিন্তু একেবারে আলাদা। কারণ, এমন দিনও আসে যখন তাঁরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন না। তখন পরিচালককে সামলাতে হয়। তবে প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আলাদা। ও সত্যিই দুর্দান্ত একজন মানুষ, ভীষণ পেশাদার। প্রযোজক ও পরিচালকের কাছে আশীর্বাদস্বরূপ।”
কোহলি আরও যোগ করেন, “সেটে যদি কোনও সমস্যা হয়েও যায়, শুধু প্রিয়ঙ্কার দিকে তাকালেই বোঝা যায় সব ঠিক হয়ে যাবে। ওর মধ্যে এমন একটা ইতিবাচক শক্তি আছে যা পুরো টিমকে আত্মবিশ্বাস দেয়। প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে আবারও কাজ করার সুযোগ পাব, এটাই আমার আশা।”

প্রশ্ন উঠল—অফস্ক্রিন প্রেম কি অনস্ক্রিন রসায়নে বাড়তি ঝলক আনে? ‘হাম তুম’ ছবিখ্যাত এই পরিচালকের সাফ জবাব, “না। প্রেমে থাকা মানেই ছবির কেমিস্ট্রি জমে উঠবে, এমন নয়। আসল ঝলক আসতে হবে চিত্রনাট্য থেকে, আর অভিনেতাদের অভিনয়ই সেটাকে উজ্জ্বল করে।”
২০০৯ সালের কামিনে থেকেই শাহিদ-প্রিয়ঙ্কার সম্পর্ক নিয়ে বলিউডে শুরু হয়েছিল জোর ফিসফাস। এমনকি একবার আইটি-রেড চলাকালীন প্রিয়ঙ্কার বাড়িতে শাহিদকে দেখা গিয়েছিল বলে শোনা যায়। ফলে গুঞ্জন আরও তীব্র হয়। পরে তেরি মেরি কাহানি মুক্তির সময় আবারও শিরোনামে উঠে এসেছিল তাঁদের সম্পর্ক। তবে কখনও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি দু’জনের কেউই।
এখন অবশ্য দু’জনেই তাঁদের নিজের জীবনে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছেন। ২০১৫ সালে শাহিদ বিয়ে করেন মীরা রাজপুতকে। দুই সন্তান—মিশা ও জেইনকে নিয়ে সুখী দাম্পত্য কাটাচ্ছেন তাঁরা। অন্যদিকে, ২০১৮ সালে প্রিয়ঙ্কা বিয়ে করেন আমেরিকান গায়ক নিক জোনাসকে। তাঁদের কন্যা মালতী মেরি আজ সবার স্নেহের পাত্র।
কুণাল কোহলির এই খোলাখুলি মন্তব্য আবারও মনে করিয়ে দিল, বলিউডের অফস্ক্রিন প্রেম যতই আলোচনার কেন্দ্র হোক না কেন, বড়পর্দার জাদু তৈরি হয় চিত্রনাট্য, পরিচালনা আর অভিনয়ের মেলবন্ধনে, ব্যক্তিগত সম্পর্কের রসায়নের জেরে নয়।
