সম্প্রতি কুমার শানুর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। প্রাক্তন প্রেমিকা তথা অভিনেত্রী কুনিকা সদানন্দের গায়কের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। আর এবার কুমার শানুর বিরুদ্ধে গর্ভাবস্থায় ‘অত্যাচার’-এর অভিযোগ এনেছেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী রীতা ভট্টাচার্য। 


সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কুমার শানুর সঙ্গে দাম্পত্য নিয়ে মুখ খোলেন রীতা। তাঁর দাবি, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তিনি শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, গর্ভাবস্থায় কুমার শানু ও তাঁর পরিবার তাঁকে নানাভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন। বাড়ির বাইরে বেরনোর অনুমতিও দেওয়া হত না। এমনকী রান্নাঘরের তাক পর্যন্ত তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, যাতে তিনি নিজে রান্না করতে না পারেন বা সহজে খাবার না পান।

এখানেই শেষ নয়, একের পর বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন রীতা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন যে কুমার শানুর বোন তাঁর নিজের সন্তান ও স্বামীকে ছেড়ে তাঁদের সঙ্গে থাকতে এসেছিলেন। বোনের সঙ্গে একই ঘরে ঘুমোতেন কুমার শানু। অন্যদিকে, রীতা তাঁর বাচ্চাদের নিয়ে অন্য ঘরে থাকতেন। ভাই-বোন মিলে তাঁকে নির্যাতন করত বলে দাবি রীতার।

আরও পড়ুনঃ রণবীর কাপুরের বিরুদ্ধে মামলার পথে মানবাধিকার কমিশন! আরিয়ানের সিরিজের জেরে কেন বিপাকে পড়লেন অভিনেতা?


গায়কের স্ত্রীর আরও অভিযোগ, সন্তানের জন্য দুধ না দেওয়ার দোকানে নির্দেশে দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে এতটাই নিয়ন্ত্রণ করা হত যে খরচের জন্য হাতে মাত্র ১০০ টাকা দেওয়া হত। রীতার  দাবি, ‘আশিকি’ ছবির পর কুমার শানুর কেরিয়ার বদলে যায়। জনপ্রিয়তা বাড়তেই গায়ক এবং তাঁর পরিবারের আচরণও পাল্টে যায়। রীতার বয়ান অনুযায়ী, সেই সময় থেকেই তাঁকে অপমানিত হতে হয়েছে এবং স্বাভাবিক পারিবারিক জীবনের সুখ থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে।


কলকাতায় প্রথম পরিচয়ের পর দু’জনের বিয়ে হয় ১৯৮০-এর দশকের শেষ দিকে। শুরুতে পরিবার রাজি না থাকলেও পরে মেনে নেয় সম্পর্ক। কিন্তু সুখের সংসার বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। রীতার অভিযোগ, বিয়ের পরই কুমার শানুর এক অভিনেত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এই ঘটনা ধীরে ধীরে তাঁদের সম্পর্ক ভাঙনের দিকে ঠেলে দেয়। রীতা জানিয়েছেন, সেই সময় তিনি ভীষণভাবে মানসিক চাপে ছিলেন এবং তাঁকে সমাজের সঙ্গে অনেক লড়াই করতে হয়েছে।
 

কুমার শানু বা তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই অভিযোগের কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে মহিলাদের অধিকার ও গর্ভাবস্থায় তাঁদের সুরক্ষা নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।