দীর্ঘ বছর পর মঞ্চে ফিরলেন চিকিৎসক এবং অভিনেতা কিঞ্জল নন্দ। দেবেশ চট্টোপাধ্যায় নির্দেশিত ফালতু নাটকে মুখ্যভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে। সৈয়দ মুজতবা সিরাজ রচিত রানির ঘাটের বৃত্তান্ত রচনা-ই এই নাটকের মূল নির্যাস। আজকাল ডট ইন-কে পরিচালক দেবেশ চট্টোপাধ্যায় অল্প কথায় জানালেন, “এই নাটকটি ঠিক প্রসেনিয়াম থিয়েটার নট। এটি নাটকটি নন-প্রসেনিয়াম স্পেস স্পেসিফিক থিয়েটার। অর্থাৎ যেখানে এই নাটকটি মঞ্চস্থ হবে তার আশেপাশে সবটুকু জায়গা ব্যবহৃত হবে। বাগবাজার রিডিং লাইব্রেরিতে মহড়া চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। চলতি মাসের ৩০ তারিখে সেখানেই প্রথমবার ফালতু মঞ্চস্থ হবে।”
কিঞ্জল নন্দর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল আজকাল ডট ইন। চিকিৎসক-অভিনেতার কথায়, “দেবেশদার সঙ্গে এর আগে বড়পর্দায় কাজ করেছি। ওঁর নাটকের মতো' ছবিতে কাজ করেছিলাম। তবে ওঁর নির্দেশনায় মঞ্চে আমার এটা প্রথম কাজ। স্বভাবতই ওঁর মাপের পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে পারছি, দারুণ লাগছে যে সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই ধরনের নাটকে আমি এর আগে কাজ করিনি। স্পেস ওরিয়েন্টেড নাটক। সেটাও একটা বাড়তি আগ্রহের কাজ করেছিল। এই নাটকে নামভূমিকায় রয়েছি। অল্প কথায় বলতে পারি, মানুষের পরিচয় খোঁজার কথা বলে এই নাটক। 'ফালতু' তাঁর মায়ের পরিচয় জানে, বাবার পরিচয় জানে না। খুব সমস্যার মধ্যে তার ছোটবেলা কেটেছে। আশেপাশের লোকজনের দেখভালের মধ্যেই সে বড় হয়েছে। একটা সময় সে তার বাবার পরিচয়ের সন্ধানে বেরোয়। এবং এই যে জানার যে খোঁজ এবং শেষমেশ ফালতু-কে কোন সত্যির সামনে এসে দাঁড় করবে, সেটা এই নাটকের উপজীব্য।”
সামান্য থেমে কিঞ্জলের সংযোজন, “বর্তমান পরিস্থিতে এই নাটকটি দর্শকের আরও গ্রহণযোগ্য হবে বলেই আমার বিশ্বাস। এইমুহূর্তে কেন্দ্র যা শুরু করেছে, আমাদের দেশের নাগরিকদের পরিচয় নিয়ে যেসব হলফনামা জারি করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে প্রশ্নও তুলবে এই নাটক। বার্তা তো দেবেই! মোট কথা, দর্শককে ভাবাবে ‘ফালতু’।”
