অভিনেত্রী জাহ্নবী কপূর সম্প্রতি জানিয়েছেন, বিদেশে গেলে তাঁকে প্রায়ই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়। বহু সময়েই অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে অনেকে তাঁর সান্নিধ্য পাওয়ার চেষ্টা করেন। সেই পরিস্থিতি থেকে বেরোতে তিনি প্রায়শই ‘আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে’– এই অজুহাত ব্যবহার করেন। এমনকি একবার তিনি নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অর্হান আওয়াত্রমনি ওরফে ওরিকে স্বামী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। শুধু ওই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সামলানোর জন্য।

জাহ্নবীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল অনাকাঙ্ক্ষিত ফ্লার্ট বা প্রস্তাব এড়াতে তিনি সবচেয়ে আজব কোন অজুহাত ব্যবহার করেছেন, তখন অভিনেত্রী জানালেন— একবার তিনি ওরিকে নিজের ‘নকল স্বামী’ বলে পরিচয় দিয়েছিলেন।
জাহ্নবীর কথায়, “আমি অনেকবার বলেছি যে আমার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ সময়েই কেউ ব্যক্তিগতভাবে এসে প্রস্তাব দেয় বিদেশে থাকাকালীন। এল.এ-তে অনেক ওয়েটার আমাকে তাঁদের ফোন নম্বর লিখে দিতেন বা এমন কিছু দিতেন যা আমি অর্ডার করিনি। একবার আমি ওরির সঙ্গে ছিলাম, তখন বলেছিলাম উনি আমার স্বামী।”

বর্তমানে শিখর পাহাড়িয়ার সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন জাহ্নবী। তিনি জানালেন, প্রথম ডেটের জন্য তাঁর সবচেয়ে বড় ‘ডিলব্রেকার’  কী। জাহ্নবীর মতে, “প্রথম ডেটটাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যেন দেরি করে না আসে, বরং আগে এসে অপেক্ষা করে। তাকে যেন নার্ভাস দেখায়। আমার কাছে আবেগঘন ইঙ্গিতগুলোই অনেক মূল্যবান। বিলাসবহুল দামি জিনিস নয়।”

জাহ্নবীকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, তাঁর জন্য কোনও সঙ্গী সবচেয়ে রোম্যান্টিক কী করেছেন, তখন প্রয়াত আইকন শ্রীদেবীর কন্যা স্মৃতিচারণা করে বলেন
“একবার সে আমার মন পাওয়ার জন্য দীর্ঘ সফর করেছিল। শুধু কয়েক ঘণ্টার জন্য দেখা করতে লন্ডন থেকে বম্বে উড়ে এসেছিল। আমি সেদিন একটা খারাপ স্বপ্ন দেখে ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, আর আতঙ্কিত ছিলাম। তখনই ও আমার কাছে চলে আসে। আর সেটা আমার কাছে ভীষণ রোম্যান্টিক।”
জাহ্নবীর সাম্প্রতিক কাজ
বর্তমানে জাহ্নবীকে দেখা যাবে ‘পরম সুন্দরী’  ছবিতে। এটি একটি রম-কম, যেখানে এক দিল্লির পাঞ্জাবি ছেলের সঙ্গে এক দক্ষিণ ভারতীয় মেয়ের প্রেমকাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন তুষার জালোটা এবং প্রযোজনা করেছে দিনেশ বিজনের ম্যাডক ফিল্মস। ছবিটি ২৯ আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। 

ব্যক্তিগত জীবন হোক বা পেশাগত ক্ষেত্র—জাহ্নবী নিজের খোলামেলা স্বীকারোক্তির মাধ্যমে প্রমাণ করছেন যে তিনি শুধুই শ্রীদেবীর কন্যা নন। বরং স্বতন্ত্র পরিচিতি গড়ে তুলতে চান। প্রেম, সম্পর্ক কিংবা কাজের ক্ষেত্রে তাঁর সরলতা এবং আন্তরিকতা তাঁকে ভক্তদের আরও কাছাকাছি টেনে এনেছে। যদিও ‘পরম সুন্দরী’ সমালোচকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি, তবুও জাহ্নবীর সততা এবং দৃঢ় মানসিকতা প্রমাণ করে যে সামনে তাঁর যাত্রা আরও সমৃদ্ধ এবং সম্ভাবনাময় হতে চলেছে।