‘দে দে প্যায়ার দে ২’-এর শুটিংয়ে একসঙ্গে কাজ করেছেন অভিনেতা জাভেদ জাফরি এবং অজয় দেবগন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জাভেদ জানান, সেটে অজয়ের একটি ‘মজা’ তাঁকে এমন অবস্থায় ফেলেছিল যে মুহূর্তে মনে হয়েছিল— এই বোধহয় জীবনের শেষ দিন! ঘটনাটি ঘটেছিল হোলির সময়, যখন তিনি অজান্তেই ভাঙ মেশানো খাবার খেয়ে ফেলেছিলেন।

এক সাক্ষাৎকারে জাভেদ বলেন, “অজয়ের সঙ্গে এটাই আমার প্রথম কাজ। বয়সে ছোট হলেও ও খুবই ভদ্র ছেলে, চুপচাপ থাকে। কিন্তু দারুণ দুষ্টুমি করে, মানুষকে প্র্যাঙ্ক খেলতে খুব ভালোবাসে। আমাকেও বাদ দেয়নি। ও খাবারের মধ্যে ভাঙ মিশিয়ে দিয়েছিল। আমি না ধূমপান করি, না মদ খাই। ওই সময় হোটেলে মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে অনেক আয়োজন ছিল। খাবার ছিল প্রচুর, আমিও পেট ভরে খেয়েছিলাম।”

তার কিছুক্ষণ পরই ভাঙের প্রভাব অনুভব করেন জাভেদ। তিনি বলেন, “আমি কারও সঙ্গে গভীর বিষয়ে কথা বলছিলাম। হঠাৎই অদ্ভুত লাগতে শুরু করল। বললাম, ‘কিছু একটা সমস্যা হয়েছে, আমাকে ঘরে যেতে হবে।’ মনে হচ্ছিল যেন অন্ধকার গহ্বরে পড়ে যাচ্ছি। সহকারীকেও ডেকে বললাম স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলাতে — যেন শেষ ইচ্ছা জানাচ্ছি! মিজানকেও (ছেলে) ফোন করেছিলাম, কারণ বুঝতেই পারছিলাম না কী হচ্ছে আমার সঙ্গে।”
পরে জানা যায়, এটি ছিল অজয়েরই প্র্যাঙ্ক। জাভেদ বলেন, “পরে শুনলাম, মিস্টার দেবগণই খাবারে ভাঙ মিশিয়ে প্র্যাঙ্ক করেছিলেন।”

অজয় শুধু অ্যাকশন-হিরো হিসাবেই খ্যাত নন, বলিউডে তিনি পরিচিত এক অদম্য ‘প্র্যাঙ্কস্টার’ হিসাবেও। সহ-অভিনেতা, বন্ধু, এমনকি কলাকুশলীদের সঙ্গেও মজা করতে তিনি বেশ দক্ষ। শুটিংয়ের ফাঁকে হঠাৎ কোনও দুষ্টুমি করে বসা তাঁর স্বভাবেরই অংশ—কখনও খাবারে লুকিয়ে বিশেষ কিছু মেশানো, কখনও আবার সেটে হঠাৎ অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি করে সবাইকে চমকে দেওয়া। তবে তাঁর এই প্র্যাঙ্কগুলো কখনওই খারাপ উদ্দেশ্যে নয়, বরং কাজের পরিবেশকে হালকা রাখা। হাসির রোল তুলই কাজের চাপে থাকা ইউনিটকে স্বস্তি দিতে চান অভিনেতা। তাই ইন্ডাস্ট্রিতে সকলেই জানেন—অজয়ের সঙ্গে কাজ মানেই হাসি-ঠাট্টা আর মজার মাঝেই শুটিং এগিয়ে যাবে। তাঁর এই দুষ্টুমি-ভরা স্বভাব আজও তাঁকে বড় পর্দার মতোই বাস্তব জীবনেও আরও বেশি প্রিয় করে তোলে।

অজয় দেবগণ, রকুল প্রীত সিং ও আর. মাধবন অভিনীত ছবি 'দে দে পেয়ার দে ২' প্রথম দিনের আয়ে কোভিড-পরবর্তী সময়ের সর্বোচ্চ ওপেনিং পাওয়া রোমান্টিক কমেডি ছবির তালিকায় চতুর্থ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে। ছবিটি প্রথম দিনে আনুমানিক ৮.৭৫ কোটি টাকা আয় করেছে, যা বর্তমান সময়ে রোমান্টিক কমেডি ঘরানার ছবির একটি ভাল সূচনা।‌ তবে, সামগ্রিক ‘রোম্যান্স’ ঘরানার সর্বোচ্চ ওপেনিং ছবির তালিকায় এখনও শীর্ষে আছে 'সাইয়ারা'।