মুম্বই পুলিশের অ্যান্টি নারকোটিক্স সেল বা এএনসি বুধবার সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ওরহান ওরফে ওরিকে তলব করল। ২৫২ কোটি টাকার মাদক মামলায় নাম জড়িয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, অ্যান্টি নারকোটিক্স সেলের মুম্বইয়ের ঘাটকোপার ইউনিটে তাঁকে আগামীকাল সকাল ১০টায় আসতে বলেছেন। তবে এর বেশি এখনও পর্যন্ত পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
বর্তমানে এই আর্থিক তছরুপ এবং গোটা নেটওয়ার্কিং নিয়ে তদন্ত চলছে। জানা গিয়েছে এতে একাধিক নেটপ্রভাবী থেকে শুরু করে তারকা এবং আন্ডারওয়ার্ল্ডের লোকজনের নাম রয়েছে। অনেকেই নাকি গোটা বিষয়টায় জড়িত। সেলিম দোলার ছেলে তাহের দোলার ছেলের জিজ্ঞাসাবাদের সময়, এবং কিছু নথি থেকে ওরির নাম প্রকাশ্যে আসে।
প্রসঙ্গত, তাহের দোলাকে গত অগাস্ট মাসে মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ই নাকি তিনি তদন্তকারীদের জানিয়েছেন যে তাঁর বাবা ড্রাগ নেওয়ার পার্টির আয়োজন করেন ভারতে এবং বিদেশে। সেখানে হাজির থাকেন তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বরা। এই তালিকায় কেবল সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ওরির নাম আছে যে এমনটা নয়, বরং অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর থেকে নোরা ফতেহি, পরিচালক আব্বাস মস্তান, র্যাপার লোকা, প্রমুখের নামও রয়েছে। এছাড়া জিশান সিদ্দিকি, যাঁর পিতা বাবা সিদ্দিকিকে ২০২৪ সালের অক্টোবরে গুলি করে হত্যা করা হয়, তাঁর নামও নথিতে উল্লেখ রয়েছে। নথিতে আরও বলা হয়েছে,অভিযুক্ত অতীতে দেশ ও বিদেশে আলিশা পারকার, নোরা ফাতেহি, শ্রদ্ধা কাপুর এবং তাঁর ভাই সিদ্ধার্থ কাপুর, জিশান সিদ্দিকি, ওরহান আওয়াত্রমনি, আব্বাস-মাস্তান, লোকা-সহ আরও বহু ব্যক্তির সঙ্গে পার্টি আয়োজন করেছেন এবং এসব পার্টিতে নিজেও অংশ নিয়েছেন ও সেখানে মাদক সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ।
ইডির তরফে সেলিম দোলার এই মাদকচক্রের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে তলব করা হয়েছে। জানা গিয়েছে তিনি বিদেশেও রপ্তানি করেন মাদক। দীর্ঘদিন ধরে দুবাই থেকে এই নেটওয়ার্ক পরিচালনা করতেন। মূলত মেফেড্রোন নামক এক মাদক সাপ্লাই করে থাকেন সেলিম। ভারতে ৭ থেকে ৮টি রাজ্যের পাঠান তিনি এই মাদক। আগামী দিনে এই তদন্তে একাধিক তারকা এবং নেটপ্রভাবীকেও ডাকা হবে বলে জানা গিয়েছে।
কেবল এই মামলা নয়। ওরির এই সময়টাই এখন ভাল যাচ্ছে না। ২০২৪ সালে বানানো একটি ভিডিওর জন্য তাঁকে সম্প্রতি তলব করেছে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ। জানা গিয়েছে, বৈষ্ণদেবীর এক হোটেলে বসে মদ্যপান করেছিলেন তিনি। বন্ধুদের সঙ্গে বসে কাটরার এক হোটেলে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে মদ্যপান করেন। আর বলাই বাহুল্য, সেখানে মদ্যপান করার রীতি নেই। ব্যান। সেখানে এই কাণ্ড ঘটানোয়, নিয়ম ভাঙায় তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
