নিজস্ব সংবাদদাতা: বিশ্বের দরবারে সম্মানিত হল শুভ্রজিৎ মিত্র পরিচালিত, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় অভিনীত "দেবী চৌধুরাণী"! বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও ছবি ইন্দো-ইউকে সহ-প্রযোজনার মর্যাদা পেল। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এটি একটি স্মরণীয় মুহূর্ত নিঃসন্দেহে। এই যুগান্তকারী সহযোগিতা ভারত এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে সাংস্কৃতিক এবং সৃজনশীল সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র নির্মাণে একটি নতুন নজির স্থাপন করবে, তেমনটাই আশা করছেন ছবির নির্মাতারা।
এলওকে আর্টস কালেকটিভ (ইন্ডিয়া/ইউকে) এর সৌম্যজিৎ মজুমদারের সঙ্গে এডিটেড মোশন পিকচার্স (ইউএসএ/ইন্ডিয়া) এর অপর্ণা এবং অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত প্রযোজিত, "দেবী চৌধুরাণী " ছবিটি পরিচালনা করেছেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী শুভ্রাজিৎ মিত্র। সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ক্লাসিক উপন্যাস থেকে গৃহীত এই চলচ্চিত্রটি ভারতের প্রথম মহিলা স্বাধীনতা সংগ্রামীর জীবনের কথা নিয়েই । এই ছবিতে সঙ্গীত আয়োজন করেছেন পণ্ডিত বিক্রম ঘোষ। 
১৬ অক্টোবর, ২০২৩-এ, গিল্ড হলে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সৌম্যজিৎ মজুমদার "দেবী চৌধুরাণী" এবং আসন্ন মিউজিক্যাল প্যান-ইন্ডিয়া হিন্দি ফিচার ফিল্ম "জয়গুরু"র কথা জানিয়েছিলেন। লন্ডন সিটি কর্পোরেশনের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও গ্রন্থাগারের চেয়ারম্যান জনাব মুনসুর আলি দ্বারা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি ভারত ও যুক্তরাজ্য উভয়ের সংস্কৃতি মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের একটি বিশিষ্ট সমাবেশ ছিল।  যেখানে হাজির ছিলেন, মিস লিলি পাণ্ডে (যুগ্ম সচিব সংস্কৃতি এবং G20 কালচার ওয়ার্কিং গ্রুপের কো-চেয়ার, কন্টিনজেন্ট লিডার), মিস হেইলি রেইনস (টিম লিড, কালচারাল ডিপ্লোম্যাসি DCMS, যুক্তরাজ্য), মিস্টার বিবেক গুপ্তা (পরিচালক, মন্ত্রণালয়) , ডঃ অনির্বাণ দাশ (পরিচালক, ভারতের জাতীয় পাণ্ডুলিপি মিশন), মিসেস কানুপ্রিয়া ভাটার (লিড কনসালটেন্ট কালচারাল প্রোজেক্টস অ্যান্ড পার্টনারশিপ, জি 20 কালচার ওয়ার্কিং গ্রুপ, ভারত), অ্যাড্রিয়ান চ্যাডউইক, (আঞ্চলিক পরিচালক ব্রিটিশ কাউন্সিল -দক্ষিণ এশিয়া) , এবং দেবাঞ্জন চক্রবর্তী ( ডিরেক্টর ইস্ট অ্যান্ড নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া এবং ইন-পোস্ট ইউকে লিড ফর G20 কালচার ট্র্যাক)। এই অভ্যর্থনা দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনকে জোরদার ও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ।
 "দেবী চৌধুরানী," এখন প্রাথমিক পোস্ট-প্রোডাকশন পর্বে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী দর্শকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন এই ছবির জন্য। সব্যসাচী চক্রবর্তী, অর্জুন চক্রবর্তী, দর্শনা বণিক, বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়, কিঞ্জল নন্দা সহ আরও অনেক গুণী কলাকুশলীরা রয়েছেন এই ছবিতে।
 অপর্ণা এবং অনিরুদ্ধর মনে করেন, 'দেবী চৌধুরাণী'র এই স্বীকৃতি ঐতিহাসিক। এটি প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র যার হাত ধরে ভারত-ইন্দো -ইউকে-এর সহ-প্রযোজনার মর্যাদা পেয়েছি আমরা। স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। এটি আমাদের চলচ্চিত্র নির্মাণের যাত্রায় শুধুমাত্র একটি উল্লেখযোগ্য অর্জনই নয়, একটি উদযাপনও।''
সৌম্যজিৎ মজুমদার (লোক আর্টস কালেক্টিভ) জানিয়েছেন " আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল ভারতের স্থানীয় গল্পগুলিকে বিশ্ব চলচ্চিত্রের বাজারে নিয়ে যাওয়া। এবং এই ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহ-প্রযোজনাগুলি গুরুত্বপূর্ণ৷ '' ছবির অন্যতম অভিনেতা প্রসেনজিৎ গর্বিতভাবে বলেছিলেন, "শুভ্রজিতের পরিচালনায় দেবী চৌধুরাণী'র নায়ক হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।'' শুভ্রজিতের কথায় , "অনিরুদ্ধ, অপর্ণা, প্রযোজক জুটি এবং সহ-প্রযোজক সৌম্যর সঙ্গে কাজ করা একটি সৌভাগ্যের বিষয়।''