টিনসেল টাউনে খবর অফুরান। বিনোদনের সমস্ত খবর জানতে যদি চান, চোখ রাখুন নজরে বিনোদনে। জেনে নিন সারাদিনের গরমাগরম খবর কী?
হিনাকে প্রণাম রকির
অভিনেত্রী হিনা খান এবং তাঁর স্বামী রকি জয়সওয়াল এই বছর বিবাহিত জীবনের প্রথম করওয়া চৌথ পালন করলেন। বিশেষ এই দিনে দু’জনেই ইনস্টাগ্রামে একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করে একে অপরের জন্য ভালবাসায় ভরা বার্তাও লেখেন।
ছবিগুলিতে দেখা গিয়েছে, হিনা এবং রকি উৎসবের আবহে একসঙ্গে হাসিমুখে পোজ দিচ্ছেন। এক ছবিতে হিনা করওয়া চৌথের আচার পালন করার মুহূর্ত লেন্সবন্দি করেছেন. আরেকটিতে রকিকে দেখা যায় তাঁর পায়ে হাত দিয়ে ভালবাসা এবং সম্মান প্রকাশ করতে। বিশেষ দিনে স্ত্রী গালে-হাতে চুম্বন একে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন রকি। যা ভক্তদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিয়েছে উষ্ণতা।
উৎসবের সাজে হিনা একেবারে উজ্জ্বল— লাল এবং সোনালি রঙের স্যুট, খোঁপায় বাঁধা চুল, সঙ্গে মানানসই গয়না। অপরদিকে রকি বেছে নিয়েছিলেন এমব্রয়ডারি করা বেইজ রঙের কুর্তা-পায়জামা।
ছবিগুলির সঙ্গে হিনা ক্যাপশনে লেখেন, ‘ধন্য। সত্যিকারের ভালবাসা যখন একটা সৎ হৃদয় খুঁজে পায়, তখন সেই বন্ধন সীমার বাইরে গিয়ে গভীর হয়। আমাদের দুনিয়া একে অপরকে ঘিরেই আবর্তিত হয়— প্রতিটি উৎসবে, প্রতিটি আনন্দে, আমাদের ভালবাসা আরও গভীর হয়।”
হিনা এবং রকির এই ভালবাসাময় উদযাপন মুহূর্তেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভক্তরা শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন নবদম্পতিকে।
সোনাক্ষীর কড়া জবাব
সোনাক্ষী সিনহা সম্প্রতি স্বামী জাহির ইকবালের সঙ্গে আবুধাবির বিখ্যাত শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদে ঘুরতে যান। সফরের কিছু ছবি তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। আর তা থেকেই দানা বাঁধে বিতর্ক। ছবিগুলির একটিতে নায়িকা জুতো পরা অবস্থায় দেখেই শুরু হয় সমালোচনা।
সোনাক্ষীকে কাঠগড়ায় তুলে একজন মন্তব্য করেন, ‘জুতো পরে মসজিদে যাওয়া অনেক বড় অন্যায়।’
এর জবাবে সোনাক্ষী সরাসরি উত্তর দিয়ে লেখেন, ‘তাই তো আমরা জুতো পরে ভিতরে যাইনি। ভাল করে দেখুন, আমরা মসজিদের বাইরে আছি। ভিতরে ঢোকার আগে কর্তৃপক্ষ আমাদের জুতো রাখার জায়গা দেখিয়েছিলেন, আর আমরা জুতো খুলে দিয়েছিলাম। এতটুকু বুদ্ধি আমাদেরও আছে। চলুন, এখন এগিয়ে যান।’
সোনাক্ষীর এই বুদ্ধিদীপ্ত এবং শান্ত জবাবের প্রশংসায় ভরে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। অনেকেই তাঁর ধৈর্য এবং ভদ্রতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।
নোটবন্দিকে দোষারোপ রাজের
শিল্পা শেট্টির স্বামী এবং ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রা জানিয়েছেন, তাঁর হোম শপিং ও অনলাইন রিটেইল সংস্থা ২০১৬ সালের নোটবন্দির পর মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে। মুম্বই পুলিশের ইকনমিক অফেন্সেস উইং-এর তদন্তে তিনি জানান, তাঁর সংস্থা মূলত নগদ লেনদেনের উপর নির্ভর করত, ফলে নোটবন্দির সিদ্ধান্ত ব্যবসাকে প্রায় স্থবির করে দেয়।
মুম্বই পুলিশের ইকনমিক অফেন্সেস উইং বর্তমানে শিল্পা এবং রাজের বিরুদ্ধে প্রায় ৬০ কোটি টাকার আর্থিক জালিয়াতির মামলার তদন্ত চালাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় রাজ কুন্দ্রা বলেন, তাঁর সংস্থা হোম শপিং এবং ইলেকট্রনিক সামগ্রীর ব্যবসা করত, কিন্তু নোটবন্দির পর বাজারে নগদের সঙ্কট দেখা দেওয়ায় বিক্রিতে বড় ধস নামে। এর ফলেই সংস্থা ধার শোধ করতে ব্যর্থ হয় এবং আর্থিক সংকটে পড়ে।
সূত্রের খবর, রাজের পাশাপাশি শিল্পাকেও এই মামলায় প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাজের বয়ান দ্বিতীয়বার রেকর্ড করা হয়েছে, এবং তদন্তের স্বার্থে তাঁকে আগামী দিনে আবারও তলব করা হতে পারে।
