২৪ নভেম্বর বলিউড হারিয়েছে এক অনন্য কিংবদন্তিকে-ধর্মেন্দ্র। প্রায় ছয় দশকের অভিনয়জীবনে যিনি ‘শোলে’ থেকে ‘চুপকে চুপকে’, ‘গুড্ডি’ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক ‘রকি ঔর রানি কি প্রেম কাহানি’ এবং ‘তেরি বাতোঁ মে অ্যায়সা উলঝা জিয়া’ একের পর এক ছবিতে অভিনয় করে গেছেন। বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্রের প্রয়াণের ঠিক কয়েক সপ্তাহ পরেই এল তাঁর ৯০তম জন্মদিন। এদিন ধর্মেন্দ্রর জন্মদিনে আবেগে ভেঙে পড়লেন তাঁর জীবনসঙ্গী, অভিনেত্রী ও সাংসদ হেমা মালিনী।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ ধর্মেন্দ্রকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে হেমা মালিনী লেখেন, “ধরমজি। হ্যাপি বার্থডে, আমার হৃদয়” সঙ্গে একটি লাল হৃদয়ের ইমোজি। সংক্ষিপ্ত শব্দে বলা সেই অনুভূতির গভীরতা কিন্তু ছিল প্রবল।

পরের লাইনগুলিতেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে তাঁর শোকের ভার। ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণের পর কেটে যাওয়া দিনগুলির কথা উল্লেখ করে হেমা লেখেন, “তুমি আমাকে ভেঙে দিয়ে চলে যাওয়ার পর দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। ধীরে ধীরে নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি, জীবনটাকে নতুন করে জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছি এই বিশ্বাস নিয়ে যে তুমি আত্মারূপে সব সময় আমার সঙ্গেই থাকবে।”
স্বামীকে হারানোর কষ্টের মাঝেও অতীতের আনন্দময় স্মৃতিই যে তাঁর সবচেয়ে বড় আশ্রয়, সেটাও খোলাখুলি স্বীকার করেছেন হেমা মালিনী। তিনি লেখেন, “আমাদের একসঙ্গে কাটানো আনন্দের মুহূর্তগুলো কোনওদিন মুছে যাবে না। সেগুলো বারবার মনে করলেই এক অদ্ভুত শান্তি আর সুখ পাই।”
Dharam ji
— Hema Malini (@dreamgirlhema)
Happy birthday my dear heart❤️
More than two weeks have passed since you left me heartbroken, slowly gathering up the pieces and trying to reconstruct my life, knowing that you will always be with me in spirit. The joyful memories of our life together can never be… pic.twitter.com/zY3QBJN0YETweet by @dreamgirlhema
সেই স্মৃতির মধ্যেই ফিরে তাকান তাঁদের পারিবারিক জীবনের দিকে। ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে কাটানো বছরগুলির জন্য ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে হেমা লেখেন, “আমাদের দু’টি সুন্দর মেয়ের জন্য আমি কৃতজ্ঞ, যারা আমাদের একে অপরের প্রতি ভালোবাসাকে আরও দৃঢ় করেছে। এই সব সুন্দর, সুখের স্মৃতি আজীবন আমার হৃদয়ে থেকে যাবে।”
বার্তার শেষে ধর্মেন্দ্রর প্রতি তাঁর প্রার্থনাও জানিয়েছেন হেমা মালিনী। জন্মদিনে প্রয়াত অভিনেতার জন্য ঈশ্বরের কাছে শান্তি ও আনন্দের প্রার্থনা করে তিনি লেখেন, “তোমার নম্রতা, মানবিকতা আর চওড়া হৃদয়ের জন্য তুমি যে শান্তি ও সুখের অধিকারী, ঈশ্বর যেন তা তোমাকে দান করেন।”
পোস্টের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তাঁরা একসঙ্গে কাটানো কিছু হাসিমুখের মুহূর্তের ছবি, সেই সুখী ‘একসঙ্গে থাকা’ সময়ের নিঃশব্দ প্রমাণ।
ধর্মেন্দ্রর চলে যাওয়া শুধু বলিউডের জন্য নয়, তাঁর পরিবারের জন্য এক গভীর শূন্যতা। আর সেই শূন্যতার মধ্যেই আজ, জন্মদিনে, ভালবাসা আর স্মৃতির আলোয় তাঁকে আবার একবার ছুঁয়ে রাখলেন হেমা মালিনী। নীরবে, দৃঢ়ভাবে, গভীর শ্রদ্ধায়।
অন্যদিকে ইনস্টাগ্রামে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে তোলা কয়েকটি ছবি শেয়ার করে এষা দেওল লেখেন এক গভীর আবেগের বার্তা। তাতে তিনি লেখেন, “আমার বাবার জন্য। আমাদের চুক্তি, আমাদের বন্ধন সবচেয়ে শক্তিশালী। সমস্ত জীবন, সমস্ত জগৎ আর তারও বাইরে ‘আমরা’ সব জায়গায় একসঙ্গেই আছি… বাবা, আমরা সব সময় একসঙ্গেই থাকব । স্বর্গ হোক বা পৃথিবী আমরা একই সত্তা। আপাতত তোমাকে খুব যত্নে, খুব আদরে নিজের হৃদয়ের গভীরে লুকিয়ে রাখলাম, এই জীবনটা বয়ে নিয়ে চলার জন্য।”কে স্মরণ করে হৃদয়ছোঁয়া এক আবেগঘন খোলা চিঠি লিখলেন কন্যা এষা দেওল। বাবার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হাসি, হওয়া অন্তহীন কথোপকথন আর জীবনের অমূল্য মুহূর্তগুলোর কথা তুলে ধরে এষা প্রতিশ্রুতি দিলেন বাবার ভালবাসা ছড়িয়ে দেবেন তাঁর অগণিত অনুরাগীর কাছে।
