প্রথম থেকেই বিতর্কে ঘেরা রিয়্যালিটি শো 'বিগ বস ১৯'। 'বিগ বস'-এর ঘরের ভেতর যেন রোজই কোনও না কোনও নাটক চলছে। এবার গায়ক ও সুরকার আমাল মালিককে ঘিরে তৈরি হল নতুন বিতর্ক। সম্প্রতি অভিনেতা অভিষেক বাজাজের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন আমাল। উত্তপ্ত তর্কের এক পর্যায়ে আমাল হঠাৎ অভিষেকের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে মুখের কাছে হাত নিয়ে যান। এই দৃশ্য দেখে শুধু ঘরের প্রতিযোগীরাই নয়, দর্শকরাও হতবাক হয়ে যান।
ঘটনাটির পরই 'বিগ বস'-এর প্রাক্তন বিজয়ী ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী গওহর খান সমাজমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “কেউ কী করে কারও মুখ স্পর্শ করার সাহস করে? ঠোঁট চেপে ধরার মানে কী? এটা সম্পূর্ণরূপে সীমা লঙ্ঘন। শারীরিক যোগাযোগ প্ররোচনার মাধ্যম, এটা কি বোঝা এত কঠিন?” এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও লেখেন, “এখন তো একে অপরের কপালে হাত দেওয়াও শুরু হয়েছে! এটা কি রাগের প্রকাশ নাকি হুমকি? প্রতিযোগিতার নামে কি সবকিছুই মেনে নেওয়া হবে?”
আরও পড়ুনঃ শাহরুখের সঙ্গে নিজের তুলনা করলেন কঙ্গনা, পাশাপাশি লাগামহীন কটাক্ষও করলেন ‘বাদশা’কে! ব্যাপারটা কী
গওহরের পোস্ট মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। অসংখ্য নেটাগরিক তাঁর পাশে দাঁড়ান। অনেকেই মন্তব্য করেন, “বিগ বসের মতো মঞ্চে কেউ কারও সঙ্গে এভাবে আচরণ করতে পারে না। এটা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।” প্রাক্তন 'বিগ বস' প্রতিযোগী কামিয়া পাঞ্জাবিও গওহরের বক্তব্যকে সমর্থন করেন। তিনি লেখেন, “আমালের আচরণ পুরোপুরি অপ্রয়োজনীয় ও অসম্মানজনক। রাগ থাকা মানেই কারও গায়ে হাত তোলা বা মুখে হাত দেওয়া নয়।”
'বিগ বস'-এরর দর্শকদের একাংশ দাবি তুলেছেন, আমাল মালিকের এই আচরণের জন্য তাঁকে শো থেকে বার করে দেওয়া উচিত। অন্যদিকে, কয়েকজন ভক্তের মতে, ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝির ফল, এবং আমালের উদ্দেশ্য খারাপ ছিল না।

তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ঝড় উঠেছে, তা থেকে একথা স্পষ্ট যে গওহর খানের মতোই বহু মানুষ মনে করছেন,“কেউই অন্য কাউকে ছুঁয়ে নিজের রাগ প্রকাশ করতে পারে না, সেটা বিগ বসের ঘর হোক বা বাস্তব জীবন।”
প্রসঙ্গত, এর আগেও 'বিগ বস'-এ একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছেন আমাল। বিগ বস-এর আরেক প্রতিযোগী নেহাল চুদাসামা গায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, একটি টাস্ক চলাকালীন আমাল তাঁকে নাকি 'আপত্তিকরভাবে স্পর্শ' করেছেন! তাঁর এই মন্তব্যের পরই ‘বিগ বস’-এর অন্দরে উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনার রেশ ধরে ‘উইকএন্ড কা বার’ পর্বে তৈরি হয় এক নাটকীয় পরিস্থিতি। সঞ্চালক ফারাহ খান বিষয়টি নিয়ে আমালকে সরাসরি প্রশ্ন করলে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক-গায়ক। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি জানান, পরিবারের বিতর্কিত অধ্যায় থেকে তিনি নিজেকে দূরে রেখেছিলেন এবং আজও সেই অবস্থানেই আছেন।
