সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ২০১৪-র এপ্রিলে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন রানি মুখোপাধ্যায় ও আদিত্য চোপড়া। আর ২০১৫-তেই জন্ম নেয় তাঁদের একমাত্র কন্যা আদিরা। মাতৃত্বের পরে কার্যত অভিনয় জীবন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন রানি। তবে রানির সেই থেমে যাওয়া সফরে নতুন ছন্দ এনেছিলেন স্বামী আদিত্য চোপড়া নিজেই।

 

“মেয়ের জন্মের পর মনে হয়েছিল, আমি ছাড়া আর কেউ মা হয়নি!”—এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন রানি। “৩৭ বা ৩৮ বছর বয়সে আমার মা হওয়া। খুব দেরি করেই মা হয়েছি আমি। আর তাই মেয়েকে ঘিরে চারপাশ আমায় এমনভাবে গ্রাস করেছিল, যেন গোটা দুনিয়ার একমাত্র মা আমি!”—সোজাসাপ্টা স্বীকারোক্তি নায়িকার।

 

তবে এরপর তাঁর জীবন বদলাল স্রেফ আদিত্যের কথায়—“আমার স্বামী আমায় একদিন চোখে চোখ রেখে বললেন, ‘হ্যালো! তুমি রানি মুখোপাধ্যায়। তোমার মেয়ের নিজস্ব জীবন হবে। কিন্তু তুমি তোমার পরিচয় ভুলে যেতে পার না। তোমার ভক্তরা অপেক্ষা করছে।’ সেই কথাতেই আমি আবার অভিনয়ে ফিরলাম। তখন আদিরা ছিল মাত্র ১৪ মাসের, আর আমি করলাম ‘হিচকি’।”

 

একজন অভিনেত্রী হিসেবে নিজের আবেগ-অনুভবকেই কাজে লাগান বলে জানিয়েছেন রানি। বললেন, “বাবার অভাব বড্ড টের পাই। কিন্তু সেটা নিয়ে কাঁদতে বসি না, বরং কাজেই সেই শূন্যতা ভরাট করি। আর আদিরা খুবই খোশমেজাজি বাচ্চা। আমি যখন শুটিংয়ে থাকি, ও দিব্যি নিজেকে সামলে নেয়।”

 

গনগনে কেরিয়ার হলেও বরাবর নিজেকে নিভৃতে, আড়ালে রাখার ব্যাপারে যেমন সচেতন আদিত্য, তেমনই তাঁদের মেয়ে আদিরাকেও সব সময় সমাজ ও সংবাদ-দুই মাধ্যম থেকেই দূরে রেখেছেন দু'জনে। তাই তো আদিরার মুখ আজও প্রকাশ্যে আসেনি। উল্লেখ্য, পর্দায় শেষবার রানি দেখা দিয়েছিলেন ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’-তে। এবার তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন ‘মর্দানী ৩’-এর জন্য।