লাদাখে অপূর্ব লাখিয়ার আসন্ন যুদ্ধনির্ভর ছবি ‘ব্যাটল অফ গালওয়ান’এর শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে সলমন খান আপাতত অনুপস্থিত। তাঁর জায়গায় ‘বিগ বস ১৯: উইকএন্ড কা বার’এর সঞ্চালকের ভূমিকায় দেখা যাবে ফারাহ খানকে। বলিউডের অন্যতম এই পরিচালক এবার প্রতিযোগীদের সারা সপ্তাহের কাজকর্ম ও আচরণের হিসাব কষে দেবেন। বিনোদন, তীব্র মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে শুরু করে অপ্রত্যাশিত চমক—সবই থাকছে, আর ফারাহ নিশ্চিত করবেন যেন বাড়ির সদস্যরা নিয়মের মধ্যে থাকেন।
বিগ বস ১৯-এ নয়া মোড়। অধিনায়কত্বের টাস্ক চলাকালীন নেহাল চুদাসামার সঙ্গে উত্তপ্ত আদানপ্রদানের পর আমল মালিক ভেঙে পড়েন। তাঁর এই অবস্থা দেখে দর্শকরা হতবাক হয়ে যান। পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে নাটকীয়তা, ক্ষমা প্রার্থনা আর ফারাহ খানের কঠোর মন্তব্য।
ক্যাপ্টেনসির টাস্ক চলাকালীন নেহাল আমলের বিরুদ্ধে অশালীন স্পর্শের অভিযোগ তোলেন। এই অভিযোগে ভীষণভাবে ব্যথিত হন আমল, বারবার ক্ষমা চান এবং শেষ পর্যন্ত কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এরপর উইকএন্ড কা বার–এ ফারাহ আমলের পক্ষ নেন। তিনি বলেন, “এই টাস্ক চলাকালীন আসলে কী ঘটেছিল, সেটা আমল, নেহাল আর আমরা যারা দেখেছি, তাদের ছাড়া আর কেউ জানে না। অথচ এটাকে এত বড় ইস্যু করে তোলা হয়েছে।” নেহালের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “প্রথমত, তুমি আমলকে এমন জায়গায় আঘাত করেছ, যেখানে করা উচিত ছিল না। আমরা বলছি না যে এটা ইচ্ছাকৃত ছিল, ঘটনাচক্রে হয়েছে। টাস্কটি শারীরিক ছিল, আর তুমি ভেবেছিলে এটা মানসিক টাস্ক।”
তিনি আমলের অতিরিক্ত ক্ষমা চাওয়ার প্রসঙ্গও তোলেন। ফারাহ বলেন, “আমল, তুমি জানত যে তুমি সঠিক ছিলে, তাহলে কেন এত বাড়াবাড়ি করে ক্ষমা চাইলে? আমার মনে হচ্ছিল এসে তোমায় চড় কষাই।”
ফারাহ নেহালকে সরাসরি বলেন, “বন্ধু হিসাবে এটা খুবই সুবিধাজনক ব্যাপার। যখন অভিষেকের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল, তুমি আর ফারহানা এমন আচরণ করেছিলে যেন কিছুই ঘটেনি। কিন্তু আমল তোমার বন্ধু বলে তোমরা সহজেই নারীবাদকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছ। আমার চেয়ে বড় নারীবাদী আর কেউ নেই, কিন্তু তুমি যা করছ, তাতে নারীবাদ একশো বছর পিছিয়ে যাচ্ছে। তুমি এত কাঁদছিলে কেন? তুমি এত মনোযোগ পাচ্ছিলে যে একসময় মনে হচ্ছিল তুমি সেটা উপভোগ করছ।”
আমল যোগ করেন, “আমার মনে কোনও অপরাধবোধই ছিল না, কারণ আমি জানতাম আমি কিছু ভুল করিনি। যেটা আমার খারাপ লেগেছিল, তা হল নেহাল ক্যামেরার দিকে চিৎকার করে বলেছিল আমি নাকি ওকে স্পর্ষ করার চেষ্টা করছিলাম। আমি চাইনি সেই ধারণা বাইরে যাক। ওই মুহূর্তে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। বন্ধুত্ব গৌণ বিষয়। একজন মেয়ে হিসাবে তুমি যদি এই শো–তে কোনও ছেলের বিরুদ্ধে কিছু বলো, তাহলে একটা ভুল বয়ান ছড়িয়ে পড়ে যা আমার সুনাম নষ্ট করতে পারে।”
