‘হোক কলরব’ ছবির সংলাপ বিতর্কে মুখ খুললেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। শুরু থেকেই বলা যাক বিষয়টা। বড়দিনে প্রকাশিত হয়েছে পরিচালকের আসন্ন ছবি ‘হোক কলরব’-এর প্রথম ঝলক৷ তার পর থেকেই বইছে সমালোচনার ঝড়৷ ‘হোক কলরব’-এর প্রথম ঝলকে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের মুখে একটি সংলাপ ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত।  সেখানে শাশ্বত অভিনীত চরিত্রটিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “নমস্কার, আমি ক্ষুদিরাম চাকী!  না, আমি ঝুলি না, ঝোলাই!” তারপরেই ক্ষুদিরাম বসুকে অসম্মানের অভিযোগে নেটপাড়ার কাঠগড়ায় রাজ চক্রবর্তী। বিতর্কের পারদ উত্তরোত্তর বাড়তেই মুখ খুলেছেন রাজ। 

 

সংবাদমাধ্যমের কাছে পরিচালক জানান, তাঁর ছবির এই মূল চরিত্রের নাম নাম ক্ষুদিরাম চাকী হলেও সেটা কোনওভাবেই বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু বা প্রফুল্ল চাকীর সঙ্গে সম্পর্কিত নয়৷ কোনওভাবেই দুই বিপ্লবীর সঙ্গে এই ক্ষুদিরাম চাকীর নামের যোগ নেই। রাজের মতে, ক্ষুদিরাম বা চাকী যে কারওর নাম অথবা পদবি হতে পারে৷ তাঁর পরিচিত-ই এমন দু’জন মানুষ আছেন। 

 

তবে এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও বলেন, “কিছু লোকজন, বিশেষ বিজেপি আইটি সেল-ই এমন উস্কানিমূলক কাজ করছে। দয়া করে, ওদের ফাঁদে পা দেবেন না। টিজার দেখে তো সবটা বোঝা যায় না। এখানে কোনও মহান ব্যক্তিত্বকে, অসম্মান করা হয়নি। বাঙালিরা জ্ঞানত তা করবে না। আর যাঁরা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে বঙ্কিমদা বলে, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে, রবীন্দ্রনাথকে অসম্মান করে, তাদের প্রোপাগান্ডায় কান দেবেন না।”

 


পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর দাবি, এই ছবিতে ক্ষুদিরাম চাকী একজন পুলিশ অফিসার। সিনেমায় কোন পরিস্থিতিতে এমন কথা বলেছেন, সেটা সিনেমা না দেখলে বোঝা যাবে না। জোর গলায় জানান, এর সঙ্গে শহিদ ক্ষুদিরাম বসু এবং প্রফুল্ল চাকীর কোনও সংযোগ বা সম্পর্কই নেই৷ তাঁর আশ্বাস,  প্রয়োজনে তিনি আরও বিশিষ্ট মানুষের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলবেন৷ তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর দরকার হলে বিতর্কিত সংলাপ তিনি বাদ দেবেন৷ কথাশেষে রাজ দর্শকদের উদ্দেশ্যে ফের বলে উঠলেন, “বিশ্বাস করুন, আবার বলছি এই নামের সঙ্গে ক্ষুদিরাম বসু অথবা প্রফুল চাকীর কোনও সংযোগ নেই। পুরোটাই কাকতালীয়।” 

 

 


আগামী ২৩ জানুয়ারি বড়পর্দায় আসতে চলেছে ‘হোক কলরব’।