বলিউডে ডেবিউ করেছিলেন ‘দবাং’ দিয়ে। সেই ছবিই তাঁকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এনেছিল। এবং সেই ছবি মুক্তির পরপরই সলমন ও গোটা খান পরিবারের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ পৌঁছেছিল অন্য মাত্রায়।  বহু বছর পেরিয়ে এসে পরিচালক অভিনব কাশ্যপ ফাঁস করলেন একের পর এক অজানা কাহিনি।

অভিনব জানালেন, প্রথমে তিনি রনদীপ হুডা-কে ভেবেছিলেন প্রধান চরিত্রের জন্য। তাঁর মতে, রনদীপের রাফ-অ্যান্ড-টাফ চেহারাটাই চরিত্রের সঙ্গে মানানসই। কিন্তু সোহেল খান সরাসরি বলে দেন, “রনদীপ হুডার কোনও বাজার আছে?  ওর পিছনে ছবিতে কে টাকা লাগাবে?” এরপর পরিচালক সঞ্জয় দত্ত, সানি দেওল-এর নামও তোলেন। অবশেষে খান পরিবারই প্রস্তাব দেয়—‘চুলবুল’ হোক সলমন! 

 কীভাবে হল সালমানের নাম চূড়ান্ত? পরিচালকের দাবি, সোহেল-আরবাজ দু’জনেই বলেন, যদি সলমন ছবিটা করেন, তবে প্রযোজনা তাঁরা নিজেরাই করবেন। বীর ছবির শুটিং সেটেই সলমনকে গল্প শোনান অভিনব। সেখানেই হাতে হাতে ১০ লক্ষ টাকার চেক দিয়ে ছবিতে সই করান খান ব্রাদার্স।

 আরবাজেরবিশেষ শর্ত ও মালাইকার প্রযোজনা নিয়েও মুখ খুলেছেন এই ‘দবাং’ পরিচালক। অভিনবের বক্তব্য, আরবাজ প্রথমে নিজেই চুলবুল পান্ডে হতে চাইছিলেন। কিন্তু তাঁকে মানানসই না লাগাতে এরপরই মালাইকা অরোরা ও আরবাজ প্রযোজক হিসেবে যুক্ত হন এই ছবির সঙ্গে।

অভিনবের আরও দাবি, ছবির প্রধান খলনায়ক ছেদি সিংয়ের চরিত্রে সোনু সুদ-ই ছিলেন তাঁর প্রথম পছন্দ। কারণ তিনি চাইছিলেন, ভিলেনকে যেন নায়কের থেকেও শক্তিশালী লাগে। সোনুর শরীরী গঠন ঠিক সেইরকমই ছিল। কিন্তু সলমন নাকি প্রথমে একেবারেই রাজি ছিলেন না—কারণ সোনুর টানটান, মাংসপেশিবহুল চেহারা দেখে নাকি তিনি “নিরাপত্তাহীনতা”য় ভুগেছিলেন! শেষমেশ ক্যাটরিনা কইফ এগিয়ে আসেন এবং সলমনকে বোঝান। সেই সময়ে সলমনের সঙ্গেই থাকতেন ক্যাটরিনা। যাইহোক, শেষমেশ ‘ক্যাট’-এর কথায় কাজ হয়। দবং ছবিতে সোনুর নাম পাকাপাকি হয়।পরিচালক এও স্বীকার করেছেন, সোনাক্ষী সিনহার নাম তিনি প্রস্তাব করেননি। তবে যাই হোক, শুটিং শেষে তাঁর অভিনয়ে তিনি সন্তুষ্ট হয়েছিলেন।

২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দবাং’ তৈরি করেছিল নতুন আইকন—‘চুলবুল পাণ্ডে’। দাপুটে, মজাদার আর স্টাইলিশ এক পুলিশ অফিসার। ছবিটি দারুণ হিট হয়ে যায় বক্স অফিসে। এরপরই আসে আরও দুই সিক্যুয়েল—দাবাং ২ (২০১২, পরিচালনায় আরবাজ খান) এবং দবাং ৩ (২০১৯, পরিচালনায় প্রভুদেবা)।

বলতে গেলে, ‘দবাং’ শুধু সলমনের কেরিয়ারেই মোড় ঘোরায়নি, হিন্দি সিনেমারও এক যুগান্তকারী ফ্র্যাঞ্চাইজি তৈরি করেছিল।