নিজস্ব সংবাদদাতা: শুক্রবার বিকেলে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।  বিকেলে সম্পূর্ণ অনাড়ম্বর একটি অনুষ্ঠানে দিলীপ-রিঙ্কুর চার হাত এক হচ্ছে। হাতে গোনা ঘনিষ্ঠ কয়েক জন সেখানে আমন্ত্রিত।তাঁর আগে নতুন জীবনের জন্য বিজেপি নেতাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর নিউটাউনের বাড়িতে ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। পাশাপাশি, পাঠিয়েছেন শুভেচ্ছাবার্তাও। সেখানে ভারতীয় জনতা পার্টির হেভিওয়েট নেতার আগামী ইনিংসের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর পর সেই তালিকায় যোগ হল দীপঙ্কর দত্ত এবং দোলন রায়ের নাম। 

 

২৭ বছর একত্রবাসের পরে ২০২০-র ১৭ জানুয়ারি থেকে দীপঙ্কর দে-দোলন রায় আইনত দম্পতি। ৬০ পেরোনো দাপুটে রাজনীতিবিদ দিলীপ ঘোষের বিয়ের খবর শুনে আজকাল ডট ইন-কে দোলন বললেন, “দিলীপ ঘোষের মনে হয়েছে, ইচ্ছে হয়েছে তাই উনি বিয়ে করছেন। তবে ওঁর মতো একজন দাপুটে, কঠিন ব্যক্তিত্বের লোক শেষমেশ বিয়ে করছে দেখে বেশ মজাই লাগছে। কীভাবে দাম্পত্যের বিষয়গুলো ওঁর মতো একজন মানুষ কীভাবে সামলাবেন, সেটা ভেবে আরও মজা লাগছে। আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল।” পাশ থেকে দীপঙ্কর  দে-ও জানালেন, বিয়ে অতন্ত্য ব্যক্তিগত বিষয়। এ বিষয়ে খুব বেশি কথা তিনি বলতে চান না। তবে হবু দম্পতির উদ্দেশ্যে কুণ্ঠাহীন শুভেচ্ছা জানাতে তিনি  ভুললেন না। দীপঙ্করের কথায়, “ভাল থাকুক, খুব ভাল থাকুক।” 

 

প্রসঙ্গত, দীপঙ্কর দে-র সঙ্গে তাঁর দাম্পত্য নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে দোলন বলেছিলেন, ‘‘আমায় যেমন টিটোদা শাসন করে তেমনি সোহাগও। আমিও তাই। ফলে, মিলেমিশে থাকতে থাকতে এত গুলো বছর কোথা দিয়ে যেন কেটে গেল!”


গত কয়েকদিনে ধরে জল্পনা ছিল রাজনৈতিক মহলে। এক সংবাদ মাধ্যমে দিলীপকে তাঁর বিয়ের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি আবার হ্যাঁ বা না কিছু বলেননি। তবে হেয়ালি বজায় রেখেছিলেন ষোলো আনা। কিছুটা হেয়ালি করে বলেন, “আমি কি বিয়ে করতে পারি না? অপরাধ নাকি বিয়ে করা?” বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের কয়েক মিনিটের মাথায় করা পরপর দুটি পোস্ট জল্পনা দ্বিগুণ করে। শুক্রতেই নাকি চারহাত এক হচ্ছে। পাত্র দিলীপ ঘোষ, পাত্রী নিজেও বিজেপির নেত্রী, নাম রিঙ্কু মজুমদার। দলীয় সূত্রেই তাঁদের আলাপ। কয়েক বছরের আলাপের পর, বেশ ভাবনাচিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার।