হরিদ্বারে গঙ্গায় শেষবারের মতো বিলীন হলেন ধর্মেন্দ্র। বুধবার, ১১ নভেম্বর উত্তরাখণ্ডের হর কি পৌরীতে প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর অস্থি বিসর্জনের সমস্ত ধর্মীয় আচার সম্পন্ন হয়। সেই সময়ে উপস্থিত ছিলেন তাঁর দুই পুত্র সানি দেওল ও ববি দেওল-সহ দেওল পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যরা। তবে অস্থি বিসর্জনটি কিন্তু সানি অথবা ববি দেওল করেননি, করেন ধর্মেন্দ্রর নাতি করণ দেওল!
এক সাক্ষাৎকারে পুরোহিত রোহিত শ্রোত্রিয় জানান, দেওল পরিবার প্রথম থেকেই হর কি পৌরীতেই অস্থি বিসর্জনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। যদিও কোনও বিশেষ কারণে সেদিন সানি ও ববি দেওল সরাসরি গঙ্গায় নামতে পারেননি। সেই দায়িত্বই পালন করেন ধর্মেন্দ্রর নাতি করণ দেওল। পুরোহিতের কথায়, “পরিবারের সবাই হরিদ্বারে এসেছিলেন। অস্থি বিসর্জনের পাশাপাশি পিণ্ডদানও সম্পন্ন হয়েছে। সানি দেওলের গোটা পরিবার, ববি দেওলের গোটা পরিবার...সকলেই এই ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।”তিনি আরও জানান, গঙ্গায় অস্থি বিসর্জনের আগেই একটি বেসরকারি হোটেলে সমস্ত প্রাক্-আচার নির্ধারিত বিধি মেনেই সম্পন্ন করা হয়েছিল।
এদিন সকালে সানি ও ববি দেওল হরিদ্বারে পৌঁছন। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিয়োতে দেখা যায়, সাদা পোশাকে আবেগপ্রবণ দেওল পরিবারের সদস্যরা অস্থি বিসর্জনের পর একে অপরকে জড়িয়ে ধরছেন। পিলিভিট হাউসে ধর্মেন্দ্রর অস্থি রাখা হয়েছিল এবং সেখান থেকেই পরিবারের সদস্যরা গঙ্গার উদ্দেশে রওনা হন। অস্থি বিসর্জন সম্পন্ন হওয়ার পরপরই দেওল পরিবার হোটেল ছেড়ে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়।
এই অস্থি বিসর্জনের সময়ের একটি ভিডিও ঘিরেই এখন চরম বিতর্ক নেটপাড়ায় । ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়, গোপনে ভিডিও করার অভিযোগে এক পাপারাজ্জির কাছে দৌড়ে যান ক্ষুব্ধ সানি দেওল। রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে তিনি ওই চিত্রগ্রাহকের দিকে এগিয়ে গিয়ে ক্যামেরা কেড়ে নেন এবং প্রশ্ন করেন। ভিডিওতে শোনা যাচ্ছে সানিকে বলতে,“টাকা চাই তো? কত টাকা চাই তোর?”
প্রসঙ্গত, গত ২৪ নভেম্বর মুম্বইয়ে নিজের বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ধর্মেন্দ্র। বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। শ্বাসকষ্ট-জনিত সমস্যায় তাকে দক্ষিণ মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মধ্যে মধ্যে অবস্থার উন্নতির খবর মিললেও, শেষরক্ষা হয়নি। তাঁর মৃত্যুর দিনই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। শেষ যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, সলমন খান-সহ বলিউডের একাধিক প্রথমসারির তারকা।রুপোলি পর্দার এই কিংবদন্তির বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে আবেগে ভেসেছে সিনে দুনিয়া আর এরপর গঙ্গার জলে বিলীন হয়ে গেল এক অধ্যায়।
