ফের বিতর্কে দক্ষিণী অভিনেতা ধনুষ। বরাবরই তাঁর কাজ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তিনি চর্চায় থাকেন। দক্ষিণী অভিনেতা ধনুষের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে, খুব বেশি দিন হয়নি। 

২০২২ সালে স্ত্রী ঐশ্বর্য রজনীকান্তের সঙ্গে পথ আলাদা হয়ে যায় ধনুষের। দীর্ঘ ১৮ বছর তাঁরা বিবাহিত ছিলেন। এরপর বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তাঁরা।

 

 

 

বিনোদন জগতের অন্দরের খবর, এর মধ্যেই নাকি নতুন প্রেম খুঁজে পেয়েছেন তিনি। অভিনেত্রী ম্রুণাল ঠাকুরের সঙ্গে নাকি তিনি প্রেম করছেন। শুধু দক্ষিণী তারকা হিসেবে পরিচিত নন তিনি, বলিউডেও সমাজমাধ্যমের একটি ভিডিওকে ঘিরে এই নতুন গুঞ্জন তৈরি হয়েছে বিনোদন জগতে। সম্প্রতি একাধিক অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে দু’জনকে। আর সেখান থেকেই ছড়িয়েছে ধনুষ ও ম্রুণালের প্রেমের গুঞ্জন।

 

 

 

 

অভিনেত্রীর সেই তারকা খচিত জন্মদিনে ধনুষ আসার পর থেকেই এই জল্পনা তৈরি হয়েছে। জন্মদিনের এই অনুষ্ঠান থেকেই একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ম্রুণালের হাত ধরে রয়েছেন ধনুষ। হাত ধরেই তাঁরা বেশ ঘনিষ্ঠ ভাবে কথা বলছেন। এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই নেটিজেনদের মনে প্রশ্ন উঠেছে,ধনুষ ও ম্রুণাল কি তবে সত্যিই প্রেম করছেন?

 

আরও পড়ুন: অজস্র অজানা প্রশ্নের মাঝে স্পষ্ট হল দেব-শুভশ্রীর রোম্যান্স, কতটা আবেগ জড়ালো 'ধূমকেতু'র ট্রেলার?

 

এছাড়াও অভিনেতার আসন্ন ছবি ‘তেরে ইশক মে’-কে ঘিরে এই পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। পার্টির কিছু ছবি ভাগ করে নিয়েছিলেন কণিকা। সেখানেও ধনুষ ও ম্রুণালকে একসঙ্গেই দেখা গিয়েছিল। যদিও এই জল্পনায় এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি দুই তারকার তরফ থেকে। তবে দু'জনের প্রেমের গুঞ্জন এখন ছড়িয়ে পড়াতে বেশ খুশিই হয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা।

 

 

 

 

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেও শিরোনামে উঠে এসেছিলেন ধনুষ। 'রাঞ্ঝনা' ছবির মাধ্যমে যেভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি, তা আজও দর্শকের মনে থেকে গিয়েছে। এই ছবির সংলাপ আজও গাঁথা আছে সিনেপ্রেমীদের মনে। তবে সেই ঐতিহাসিক ক্লাইম্যাক্সই এবার বদলে গেল! কৃত্তিম মেধা অর্থাৎ এআই (AI)-এর সাহায্যে তৈরি করা নতুন ভার্সনে দেখা যাচ্ছে, কুন্দন মারা যাচ্ছে না—চোখ খুলে জেগে উঠছে। আর এই পরিবর্তনে যারপরনাই তীব্র ক্ষুব্ধ ধনুষ!

 

একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে অভিনেতার তরফে। যেখানে স্পষ্ট ভাষায় লেখা হয়েছে: “ এ ছবির আত্মাকে খুন করা হয়েছে!”

‘রাঞ্ঝনা’র এআই-অল্টার্ড ভার্সন দেখে নিজের অসন্তোষ গোপন রাখার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করেননি ধনুষ। এক অফিশিয়াল বিবৃতিতে তিনি বলেন—

 

‘রাঞ্ঝনা’-এর এআই-পরিবর্তিত ক্লাইম্যাক্স আমাকে সম্পূর্ণভাবে বিচলিত করেছে। এই বিকল্প সমাপ্তি ছবির আত্মাকেই কেড়ে নিয়েছে। আমি স্পষ্ট আপত্তি জানিয়েওছিলাম, তবু ওরা এগিয়ে গিয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন— “এটা সেই ছবি নয়, যেটাতে আমি ১২ বছর আগে কাজ করেছিলাম। চলচ্চিত্র বা কনটেন্টে এআই ব্যবহারের এই প্রবণতা শিল্প ও শিল্পীদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এটা সিনেমার ঐতিহ্য এবং গল্প বলার নির্ভরযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়। আমি চাই, ভবিষ্যতে এমন কাজ আটকাতে কঠোর নিয়ম তৈরি হোক।”

 

পরিচালক আনন্দ এল. রাই-ও সমান হতাশ। ‘রাঞ্ঝনা’ পরিচালক আনন্দ এল. রাই-ও এর আগে একইভাবে এআই দিয়ে ছবির ক্লাইম্যাক্স বদলানো নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, “একটা সিনেমার আত্মা থাকে গল্পে, এআই দিয়ে সেই মেজাজটাই নষ্ট হয়ে গেল।”