জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ গত ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত। দীর্ঘ কেরিয়ারে তিনি যেমন পেশাগত সাফল্য দেখেছেন, তেমনই ব্যক্তিগত জীবনে নানা বিতর্ক ও সমস্যার মধ্য দিয়েও যেতে হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম আলোচিত বিতর্ক ছিল প্রতারণা মামলার আসামী সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে তাঁর নাম জড়ানো।

সম্প্রতি সেই সুকেশ চন্দ্রশেখর নাকি জ্যাকলিনকে বেভারলি হিলসে একটি বিলাসবহুল বাড়ি উপহার দিয়েছেন। উপহারের সঙ্গে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি। সেই চিঠিতে সুকেশ লেখেন, ‘মেরি ক্রিসমাস, বেবি। এই উৎসবটা আমাকে সব সময় তোমার সঙ্গে কাটানো বিশেষ মুহূর্ত আর অভিজ্ঞতার কথা মনে করিয়ে দেয়। আর তোমার প্রতি আমার পাগল করা ভালোবসার কথাও। যা সব সময়ই আমার মনের মধ্যে থাকে।”
চিঠিতে তিনি আরও লেখেন, ‘আজকের এই বিশেষ দিনে তোমার সেই খরগোশের মতো মিষ্টি হাসিটা দেখতে না পারার জন্য আমি দুঃখিত। বেবি, এই পবিত্র ও আনন্দময় দিনে আমি তোমাকে উপহার দিচ্ছি ‘দ্য লাভ নেস্ট’। বেভারলি হিলসে তোমার নতুন বাড়ি, আমাদের নতুন বাড়ি।’

সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অপরাধের মামলা চলছে। সুকেশের নামে ২১৫ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মামলায় জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন দায়ের করেছেন। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের বেঞ্চ আগামী ২২ সেপ্টেম্বর এই আবেদনের শুনানি করবে।

গত কয়েক বছর ধরে অভিনেত্রী তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তিনি বারবার দাবি করেছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির আসল পরিচয় সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন না। যদিও এই আর্থিক তছরুপের মামলায় তাঁকে অভিযুক্তদের একজন হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০২২ সালে জ্যাকলিন ও সুকেশের একটি ঘনিষ্ঠ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়, যা নিয়ে তীব্র আলোচনা শুরু হয়। সেই ঘটনার পরও সুকেশ জ্যাকলিনকে একের পর এক দামী উপহার ও প্রেমপত্র পাঠাতে থাকেন বলে অভিযোগ।

এই মামলার প্রেক্ষিতে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে একাধিকবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এবং পরে দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক অফেন্সেস উইং (ইওডব্লিউ) জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ইডির দাবি ছিল, সুকেশের অপরাধমূলক অতীত ও আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে জ্যাকলিন অবগত ছিলেন। তবে অভিনেত্রী নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছেন এবং বিষয়টি নিয়ে আদালতের শুনানিতেও তিনি হাজির হয়েছেন।