জি বাংলায় আসছে প্রেম ও ভক্তিরসের মিশেলে অভিনব গল্প 'তারে ধরি ধরি মনে করি'। এই ধারাবাহিকে প্রথমবার জুটি হিসেবে দেখা যেতে চলেছে অভিনেতা বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিনেত্রী পল্লবী শর্মাকে। ইতিমধ্যেই পল্লবী-বিশ্বরূপের জুটির রসায়ন দর্শক দেখেছেন মেগার প্রোমোতে। এই ধারাবাহিকে বিশ্বরূপের চরিত্রের নাম 'গোরা' ও পল্লবীর চরিত্রের নাম 'রূপমঞ্জুরী'। নায়ক-নায়িকা যখন আছেন, তখন গল্পে তো খলনায়ক থাকবেনই।
সূত্রের খবর, এই ধারাবাহিকে খল চরিত্রে দেখা যেতে চলেছে অভিনেতা নীল চট্টোপাধ্যায়কে। নীলকে এর আগে বহু ধারাবাহিকে দেখেছেন দর্শক। সম্প্রতি তাঁকে স্টার জলসার 'রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী'তেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গিয়েছে। ইতিবাচক হোক বা নেতিবাচক চরিত্রে প্রতি ধারাবাহিকেই দর্শকের মন জয় করেন নীল।
সদ্য অভিনেতার ঘরে এসেছে নতুন সদস্য। মেয়ের বাবা হয়েছেন নীল। কিছুদিন আগেই সমাজমাধ্যমে একরত্তির ছবি প্রথমবার প্রকাশ্যে এনেছিলেন নীল। এর মধ্যেই নতুন মেগায় পথ চলা শুরু করলেন তিনি। যদিও মুক্তি পাওয়া ওই প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। তবে গল্পে তাঁর উপস্থিতি একেবারে ভিন্নমাত্রা যোগ করবে, তেমনই শোনা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, 'তারে ধরি ধরি মনে করি'র যে প্রোমো ঘিরে দর্শক মহলে এত উত্তেজনা ছড়িয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে এক অন্যরকম প্রেমকাহিনি। দেখা যায়, শ্রীকৃষ্ণের পুজোয় ব্যস্ত গোরা। তার বাড়িতেও পুজোর বিরাট আয়োজন। গোরার স্ত্রী রূপমঞ্জুরীর উপর পুজোর সব দায়িত্ব। সবকিছু একা হাতে, হাসিমুখেই সামলাচ্ছে রূপ। গোরার পাশে ভগবানের কাছে সে প্রার্থনা করে, যে সংসার তাকে ঈশ্বর দিয়েছেন, তা যেন সে রক্ষা করতে পারে। রূপমঞ্জুরীর প্রার্থনা যেন শুনতে পায় গোরা। আনমনা হয়ে পড়ে সে।
ঠিক পরের দিন ভোরবেলায় সংসারের মায়া ত্যাগ করে ঈশ্বরের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে গোরা। পিছুটান রাখে না কোনও, শুধু মাকে একটা চিঠি লিখে যায় সে। এদিকে, রূপমঞ্জুরী গোরার খোঁজ করতে করতে বারাণসীর ঘাটে গিয়ে পৌঁছয়। সেখানে দেখাও হয় তার গোরার সঙ্গে। কিন্তু গোরা তখন সন্ন্যাস গ্রহণ করেছে। রূপমঞ্জুরীকে দেখেও চিনতে পারে না সে। কী হবে গোরা ও রূপের ভবিষ্যৎ? সেই উত্তরই দিতে আসছে এই ধারাবাহিক।
