২০২৬ সালে মুক্তি পেতে চলা ‘বর্ডার ২’ ইতিমধ্যেই অন্যতম প্রতীক্ষিত হিন্দি ছবি হয়ে উঠেছে। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘বর্ডার’ এখনও ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে আবেগ, দেশপ্রেম আর সাহসের অন্যতম প্রতীক। সেই ঐতিহাসিক ছবির উত্তরাধিকার বহন করেই আসছে এই নতুন অধ্যায়, আর সেই কারণেই ছবিটির প্রতি প্রত্যাশা স্বাভাবিকভাবেই আকাশচুম্বী।

 

অনুরাগ সিং পরিচালিত এই ছবিতে রয়েছেন সানি দেওল, বরুণ ধাওয়ান, দিলজিৎ দোসাঞ্জ ও আহান শেট্টির মতো তারকারা। তবে শুধু নতুন প্রজন্ম নয়, খবরের আসল উত্তেজনা লুকিয়ে আছে আরেকটি দিকেই। জানা গিয়েছে, অক্ষয় খান্না, সুনীল শেট্টি ও সুদেশ বেরি এই তিনজন মূল ‘বর্ডার’-এর গুরুত্বপূর্ণ অভিনেতা এই ছবিতে বিশেষ অতিথি শিল্পী হিসেবে হাজির হতে চলেছেন।

 

অক্ষয় খান্নার ‘ধরমবীর সিং’, সুনীল শেট্টির ‘ভৈরোঁ সিং’ কিংবা সুদেশ বেরির ‘মথুরাদাস’এদের প্রত্যেকেই 'বর্ডার' ছবিতে দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন। সেই চরিত্রগুলির সাহসী যাত্রা দর্শকের মনে এখনও তাজা। নতুন ছবিতে আবার তাঁদের উপস্থিতি শুধু চমক নয়, বরং এক আবেগঘন প্রত্যাবর্তন, এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাছে সাহসের উত্তরাধিকার তুলে দেওয়ার মতোই।

 

সূত্রের খবর, ছবিতে এমন একটি অংশ রাখা হয়েছে যেখানে যুদ্ধ শুরুর আগে এক আবেগঘন পরিবেশে পুরনো এবং নতুন সৈনিকদের ‘দেখা’ হবে। এই দৃশ্যকে ঘিরেই তৈরি হচ্ছে ছবির বড় আবেগী মুহূর্ত! বিশেষ করে সুনীল শেট্টি ও তাঁর ছেলে আহান শেট্টিকে একই ছবিতে পাওয়া দর্শকদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হতে চলেছে।

 

‘বর্ডার ২’-এর শুটিংয়ের ক্ষেত্রেও কিছুটা চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রথমে পুনেতে এই দৃশ্য ধারণের পরিকল্পনা থাকলেও পরে বদলাতে হয়। অক্ষয় খান্না ও সুদেশ বেরির দৃশ্য শুট করা হয়েছে মুম্বইয়ে। সুনীল শেট্টি অন্য ছবির কাজে ব্যস্ত থাকায় তাঁর অংশটি গ্রিনস্ক্রিনে শুট করে ভিএফএক্সের সাহায্যে সম্পূর্ণ করা হবে। সেই সঙ্গে থাকবে ডি-এইজিং প্রযুক্তি, যাতে চরিত্রগুলোকে আগের মতোই তরুণ দেখা যায়!

 

 

‘বর্ডার ২’ মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ২৩ জানুয়ারি। সানি দেওল ফিরছেন তাঁর পরিচিত চরিত্রে। বরুণ ধাওয়ান অভিনয় করছেন পরমবীর চক্রপ্রাপক কর্নেল হুঁশিয়ার সিং-এর চরিত্রে, দিলজিৎ দোসাঞ্জ থাকছেন ভারতীয় বায়ুসেনার অফিসার হিসেবে এবং আহান শেট্টিকে দেখা যাবে এক নৌবাহিনীর অফিসারের ভূমিকায়।

 

সব মিলিয়ে, ‘বর্ডার ২’ শুধু একটি যুদ্ধের গল্প নয়; এটি স্মৃতি, কৃতজ্ঞতা, সাহস আর উত্তরাধিকার বহনের গল্প। ভারতের পুরনো বীরেরা ফিরবেন, নতুন বীরেরা উঠে আসবেন আর দর্শক আবারও ফিরে পাবেন সেই পরিচিত গর্ব ও আবেগের অনুভূতি।