একসময় বলিউডের ওপেন সিক্রেট ছিল করিনা কাপুর খান ও শাহিদ কাপুরের প্রেম। ইমতিয়াজ আলির 'জব উই মেট' এ তাঁদের রসায়ন মন জয় করেছিল অগণিত অনুরাগীদের। যদিও এই ছবির পরেই বিচ্ছেদ হয়ে যায় জুটির । এরপর মীরা রাজপুতের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন শাহিদ। বিয়ের তিন বছরের মধ্যেই দুই সন্তানের মা হন মীরা। কিন্তু প্রথমবার অন্তঃস্বত্বা হওয়ার চার মাসের মধ্যেই নাকি তিনি গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন! নেপথ্যে ছিল কী কারণ? 

বলিউড অভিনেতা শাহিদ কাপুরের স্ত্রী এক সাক্ষাৎকারে তাঁর প্রথম গর্ভাবস্থার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। কন্যা মিশাকে গর্ভে ধারণ করার মাত্র চার মাসের মধ্যে তাঁর প্রায় গর্ভপাত হতে চলেছিল। আসলে অভিনেতার স্ত্রীর অন্তঃস্বত্বাকালীন হঠাৎ গুরুতর জটিলতা ধরা পড়েছিল। 

আরও পড়ুনঃ হৃত্বিকের প্রেমিকার কাজের দরকার হয় নাকি! কটাক্ষের শিকার সাবা, ক্ষোভ উগড়ে পাল্টা কী জবাব দিলেন অভিনেত্রী?

মীরা জানান, নিয়মিত সোনোগ্রাম করাতে গিয়ে ধরা পড়ে তাঁর গর্ভের মুখ অর্থাৎ সার্ভিক্স অস্বাভাবিকভাবে খুলতে শুরু করেছে। যার ফলে গর্ভপাতের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলে সতর্ক করেন চিকিৎসক। অথচ তখন মীরার বয়স ছিল অল্প। বেশ সুস্থ এবং ফিট ছিলেন তিনি। তাই এমন পরিস্থিতি তাঁর ও পরিবারের কাছে একেবারেই ছিল অপ্রত্যাশিত ।

পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে উঠেছিল যে প্রথমে মীরাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রায় দেড় মাস কঠোর পর্যবেক্ষণে ছিলেন শাহিদ পত্নী। শারীরিক কষ্টের পাশাপাশি মানসিক চাপেও ভেঙে পড়ছিলেন মীরা। সেই সময় স্ত্রী যেন বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন তা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে অনুরোধ করেন শাহিদ। ডাক্তারের অনুমতির পর বাড়িতেই তৈরি হয় হাসপাতালের পরিবেশ। নিয়মিত নার্স, চিকিৎসক ও সব রকম চিকিৎসার সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়। বাড়িতে এসে খানিকটা স্বস্তি পেয়েছিলেন মীরা। 


তবে এখানেই শেষ হয়। প্রথমবার মা হতে গিয়ে আরও জটিলতার মুখোমুখি হন মীরা রাজপুত। সেইসময়ে পরিবার তাঁকে দেখতে এলে আবেগে কেঁদে ফেলেন তিনি। এর ফলে শরীরে সংকোচন শুরু হয়ে যায়। চিকিৎসকরা আবারও সতর্ক হয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করান। সঠিক যত্ন ও চিকিৎসার ফলে শেষ পর্যন্ত নিরাপদে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন মীরা। 

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে মীরা রাজপুত ও শাহিদ কাপুর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এক বছর পর ২০১৬ সালে জন্ম নেয় তাঁদের প্রথম কন্যা মিশা। এরপর ২০১৮ সালে তাদের দ্বিতীয় সন্তান জৈন পৃথিবীতে আসে।