সুজানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বেশ অনেকদিন ‘সিঙ্গল’ ছিলেন হৃত্বিক রোশন। বছর তিনেক আগে তাঁর জীবনে আসেন সাবা আজাদ। গায়িকা, বাচিকশিল্পী ও অভিনেত্রী সাবার সঙ্গে প্রায়ই হৃতিকের রসায়নের ভূরি ভূরি নিদর্শন মেলে মাজমাধ্যমে। তবে বিভিন্ন সময়ে নায়কের প্রেমিকা হওয়ার মাসুল গুনতে হয়েছে সাবাকে। ট্রোলিংয়ের পাশাপাশি তাঁর প্রতিভা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে নেটপাড়ার বাসিন্দারা। এমনকী তাঁর কাজ করার প্রয়োজন নেই, এমন প্রশ্নও উড়ে এসেছে। তবে পাল্টা মোক্ষম জবাব দিয়েছেন অভিনেতার বান্ধবী।
সাবা এই ধরনের ট্রোলিং-কে ‘দুঃখজনক’ এবং ‘লিঙ্গবৈষম্য’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, “এমন মন্তব্য শুধুমাত্র আমাকে প্রভাবিত করছে না, বরং এটি সমাজে মহিলাদের অবস্থান এবং তাদের পেশাগত স্বাধীনতার উপরও প্রভাব ফেলে।” তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “যতক্ষণ না আপনি একজন পুরুষের পাশে দাঁড়ান, আপনার নিজস্ব পরিচয় কমে যায়। এটি দুঃখজনক, এবং এমন ধারণা অনেক মানুষের মধ্যে এখনও আছে, এমনকী যারা নিজেদের প্রগতিশীল মনে করেন তাঁদের এই মনোভাব রয়েছে।”
আরও পড়ুনঃ ‘তনু ওয়েডস মনু ৩’-এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত! ঘোষণা করেও কেন এই হাল কঙ্গনা-মাধবনের ছবির?
সাবা উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন সোনি রাজদানকে। তিনি বলেন, “সোনি রাজদান একজন কিংবদন্তি। তাঁর অভিনীত ছবি যেমন ‘মণ্ডি’, ‘ড্যাডি’ এবং ‘পার্টি’ অসাধারণ। কিন্তু তাঁর সাফল্য সত্ত্বেও তাঁকে নিজের পরিচয়ে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। বিষয়টি আমার অদ্ভুত লাগে।” সাবা আরও বলেন, বলিউডে এখনও এমন একটি ধারা রয়েছে যেখানে মহিলাদের গল্প ও চরিত্রকে কেন্দ্র করে সিনেমা তৈরি করা হলেও তারা যথাযথ সম্মান পান না। এছাড়াও সেটে মহিলাদের জন্য পর্যাপ্ত সুবিধার অভাব যেমন স্যানিটারি সুবিধা, এখনও একটি বড় সমস্যা।

প্রসঙ্গত, হৃতিক ও সাবার বয়সের ফারাক বিস্তর। অভিনেতা পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেলেছেন। অন্য দিকে, ৩৮-এ সাবা।তবে ট্রোলিং-এওর জবার দিয়ে প্রকাশ্যে প্রেমিকার পাশে দাঁড়িয়েছেন হৃত্বিকও। সমাজমাধ্যমের একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “আমি তোমার সংগ্রাম, অসহায়ত্ব এবং হতাশা দেখেছি। তুমি যেভাবে প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছো, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।” হৃতিক আরও বলেছেন, “‘সঙস অব প্যারাডাইস’ ছবিতে সাবার অভিনয় এবং এর জন্য যে প্রশংসা পাচ্ছে, তা সত্যিই হৃদয়স্পর্শী।”
