সলমন খান এবং অভিনব কাশ্যপের মধ্যে ১৫ বছরের পুরনো তিক্ত সম্পর্ক এখনও বহাল। ২০১০ সালে 'দাবাং'-এর পরিচালক ছিলেন অভিনব কাশ্যপ। ছবিটি বক্স অফিসে সাফল্য পেলেও সলমন ও কাশ্যপ, দু'জনের কাছেই এর অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর ছিল না। সম্প্রতি এই পুরনো ঝগড়ার নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে।
সলমন খানের বিরুদ্ধে একাধিক বিতর্কিত অভিযোগ তুলে নতুনভাবে আলোচনায় উঠে এসেছেন অভিনব। পরিচালক জানিয়েছেন, সলমন তাঁর ভাই আরবাজ খানের প্রতি দীর্ঘদিন ধরে বিদ্বেষ পোষণ করে আসছেন। কাশ্যপের দাবি, সলমন ও আরবাজের সম্পর্ক অত্যন্ত খারাপ। এমনকী 'দাবাং'-এ কাজ করার সময়ে সলমন তাঁকে জানিয়েছিলেন যে তিনি ছবিতে আরবাজের উপস্থিতি কমাতে চান।
কাশ্যপ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "এই ভাইয়েরা একে অপরকে ঘৃণা করে, কিন্তু আমি জানি না কেন তারা একসঙ্গে থাকেন। এই পরিবারকে বোঝা খুব কঠিন। আরবাজ নিশ্চয়ই সলমনকে ছবিতে তাঁর সময় কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল। কিন্তু ওঁরা আমার সামনে ঝগড়া করেনি।"
একবার নাকি সকলের সামনেই দুই ভাইয়ের মধ্যে তীব্র ঝামেলা হয় বলে দাবি করেন পরিচালক। তাঁর কথায়, "একবার আমার সামনে আরবাজ এবং সলমনের মধ্যে ঝগড়া হয়, সেই সময় সলমন বাসন ছুঁড়ে মারে। আমি বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমি ওদের ঝগড়া থামাতে যাওয়ায় উল্টে সলমন আমায় গোটা বিষয় থেকে দূরে থাকতে বলে।"

এখানেই শেষ নয়, অভিনব আরও দাবি করেন, "সলমন আমার সম্পাদক এবং সম্পাদনা যন্ত্রটি অপহরণ করে তাঁর ফার্মহাউসে নিয়ে যান। এরপর সম্পাদক তাঁকে ফার্মহাউসে ভোল্টেজের ওঠানামা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করার পরেই তিনি তাঁকে ফিরে আসতে দেন। এমনকী সলমন একবার আমার সম্পাদককে সতর্ক করে, পরিচালক যদি ছবিটি নিয়ে মজা করেন, তাহলে আমি তার পিঠে সিলিন্ডার ঠেলে দেব।"
প্রসঙ্গত, অভিনবের অভিযোগে চুপ থাকেননি সলমন। কয়েকদিন আগেই উপযুক্ত জবাবও দিয়েছেন তিনি। অভিনবের নাম না করেই তিনি বলেন, "আমাদের একজন দাবাং মানুষ আছেন, উনিও আজকাল লেগে পড়েছেন। এখন উনি আমার সঙ্গে আমির আর শাহরুখকেও জড়িয়ে ফেলেছেন। আমি গত 'উইকএন্ড কা বার'-এও বলেছিলাম, কাজ করো বন্ধু, কারও কিছু যায় আসে না। আজকে আরও একবার জানতে চাই, কাজ কি পেয়েছ ভাই?"
প্রসঙ্গত, সলমন খান ও অভিষেক কাশ্যপের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের জটিলতা এবং বিরোধ নতুনভাবে প্রকাশ পেয়েছে। অনেকে মনে করছেন, এই বিতর্ক আগামী দিনে আরও নাটকীয় ও উস্কানিমূলক পর্যায়ে পৌঁছতে পারে।
