গত বছর জুলাইতে মেয়ের বাবা-মা হয়েছেন রিচা চাড্ডা-আলি ফজল। তারপর থেকে সদ্যোজাত কন্যাকে নিয়েই সময় কাটছে রিচা ও আলির। জুলাইতেই মেয়ের এক টুকরো পায়ের ছবি দিয়ে সকলকে সন্তান আসার সুখবর শুনিয়েছিলেন তারকা দম্পতি।
তাঁরা তাঁদের মেয়ের নাম রেখেছেন জুনেরা ইদা ফজল। মেয়ের নাম জানিয়ে অভিনেতা আলি ফজল এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, "একটা শিশুর জন্ম কীভাবে যে আপনার জীবনের শূন্যতাগুলি পূরণ করে দেয় তা হয়ত আপনি নিজেও জানেন না। এই বিষয়টিই আমাকে আরও বিস্মত করে। মেয়ে আসার পর এখন কাজ করাটাই খুব কঠিন। আমি যখন বাড়ি ছেড়ে বের হই তখন গুরুতর উদ্বেগ নিয়ে যাই, কারণ আমি শুধু এখন মেয়ে জুনেরাকেই দেখতে চাই, আর চাই রিচাও ওর আশেপাশে থাকুক।"
মেয়েকে একটু অন্য ভাবে বড় করার চেষ্টা করছেন রিচা আর আলি ফজল। এক বছর বয়স হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত মেয়ের ছবি প্রকাশ্যে আনেননি তারকা দম্পতি। কিছু দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, তিনি এবং আলি দু’জনেই মেয়ের যত্ন আত্তির সরঞ্জাম একেবার প্লাস্টিক-মুক্ত রাখার চেষ্টা করছেন। কারণ ওই ধরনের প্লাস্টিকই পৃথিবীর দূষণের অন্যতম কারণ। এ ছাড়াও তাঁরা মেয়েকে বড় করার জন্য পুনর্বব্যহার্য জিনিসপত্রও ব্যবহার করেছেন।
আরও পড়ুন: বহু বছর পর পর্দায় ফিরছেন আদিত্য সেনগুপ্ত, হইচই-এর সিরিজে কোন রহস্যে জড়াবেন অভিনেতা?
কন্যাসন্তান জুনেরার প্রথম জন্মদিনে ইনস্টাগ্রামে আবেগঘন ভিডিও শেয়ার করেছিলেন রিচা চাড্ডা। মাতৃত্বের গোটা যাত্রা তুলে ধরে সেই ভিডিও মন ছুঁয়ে যায় বহু অনুরাগীর। কিন্তু সেই আনন্দঘন মুহূর্তই পরিণত হয় বিতর্কে—কারণ রিচা ক্যাপশনে লিখেছিলেন, 'ন্যাচারাল বার্থ'। আর সেই শব্দ নিয়েই সমাজমাধ্যমে শুরু হয় কটাক্ষের ঝড়।

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রিচা লেখেন, “এক বছর আগে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে কয়েক ঘণ্টার অস্বাভাবিক প্রসব যন্ত্রণা আর মাত্র ২০ মিনিটে জন্মেছিল আমার মেয়ে। ন্যাচারাল বার্থ! তারপর জীবন আর আগের মতো থাকেনি। আমার শরীর, মন—সব যেন নতুন করে সাজানো হয়েছে, বলেই মনে হয়েছে। জুনাইরার জন্মের দিন আমিও যেন নতুন করে জন্মেছিলাম, একজন মা হিসেবে।”
অভিনেত্রীর এই পোস্টের মন্তব্যে নেটিজেনদের কটাক্ষের তির ধেয়ে এসেছে তাঁর দিকে। তবে মুখ বুজে থাকেননি রিচাও। বরাবরই স্পষ্ট কথা বলার জন্য পরিচিত তিনি। এবারও তার অন্যথা হল না। নেটপাড়ার কটাক্ষের জবাবে রিচা লেখেন, 'কিন্তু যদি আমি ‘ভ্যাজাইনাল ডেলিভারি’ না বলতে চাই? এটা তো আমার পেজ, আমার যোনি, আমার সন্তান। ফেমিনিজম আমাকে শিখিয়েছে নিজের পছন্দমতো শব্দ ব্যবহার করতে, তাই করলাম।”
