বলিউডে এল খুশির খবর। পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন অভিনেতা বিনীত কুমার সিং ও তাঁর স্ত্রী রুচিরা সিং। মঙ্গলবার জন্ম নেয় তাঁদের প্রথম সন্তান। প্রথমবার বাবা-মা হয়ে আনন্দে ভাসছেন এই দম্পতি। সন্তান জন্মের খবর বিনীত নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে ভিনীত ও রুচিরা লেখেন, 'ভগবানের কৃপায় আমরা এখন আনন্দে ডুবে আছি। আমাদের 'ছোট্ট সিং' এই দুনিয়ায় এসেছে এবং সে ইতিমধ্যেই আমাদের মন জয় করছে। এই অনন্য আশীর্বাদের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।'
এই খবরে শুভেচ্ছাবার্তায় ভরে যায় কমেন্ট সেকশন। বহু বলি তারকা থেকে শুরু করে নেটিজেনরা শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন দম্পতিকে। ২০২১ সালে রুচিরার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন বিনীত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি জানান, তাঁদের জীবনে নতুন অতিথি আসতে চলেছে। সেই সময় এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছিলেন, “আমরা খুবই খুশি। জীবনের নতুন অধ্যায়ের জন্য অপেক্ষা করছি।” স্ত্রী রুচিরাও বলেছিলেন, “মনে হচ্ছে যেন অনেকটা আবেগে ভেসে যাচ্ছি।”

পেশাদার দিক থেকেও ২০২৫ সাল বিনীতের কাছে অত্যন্ত সফল। তাঁর একের পর এক প্রজেক্ট মুক্তি পেয়েছে—‘ছাবা’, ‘সুপারবয়েজ অফ মালেগাঁও’, ‘জাট’ এবং ওয়েব সিরিজ ‘রাঙিন’। সন্তান জন্মের পর বিনীত মজা করে বলেন, “শুনতাম সন্তান ভাগ্য নিয়ে আসে। এখন নিজের জীবনেই তার প্রমাণ পাচ্ছি। ২০২৫ আমার জীবনের ব্লকবাস্টার বছর!”
নতুন সদস্যের আগমনে পরিবারে খুশির হাওয়া। অভিনেতা এবং তাঁর স্ত্রী দু’জনেই এখন প্রথমবার বাবা-মা হওয়ার অভিজ্ঞতা উপভোগ করছেন।
'ছাবা'য় অভিনয় করে দর্শক মহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন বিনীত। শিবাজি সাওয়ান্তের লেখা মরাঠি উপন্যাস ‘ছাবা’ অবলম্বনে তৈরি এই ছবির উপজীব্য ছত্রপতি শিবাজির জ্যেষ্ঠ পুত্র সম্ভাজির জীবনকাহিনি। খলনায়ক হিসাবে দেখানো হয়েছে বৃদ্ধ মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেবকে। গত কয়েক দিনে ভাল ব্যবসা করেছে লক্ষ্মণ উতেকর পরিচালিত এই ছবি। এই ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও এই ছবি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন গণোজি ও কনহোজি শির্কের বংশধরেরা। ইতিমধ্যেই ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। দাবি, তাঁদের পূর্বপুরুষদের চিত্রায়ণ নাকি যথাযথ তুলে ধরা হয়নি ছবিতে।
ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের বিশ্বস্ত মিত্র ছিলেন গণোজি এবং কানহোজি। ছবির চিত্রনাট্য অনুযায়ী মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সম্ভাজির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন সম্ভাজির এই দুই মিত্র। এর ফলে মরাঠা শাসকের মৃত্যু হয়। এ হেন চিত্রায়ণে আপত্তি জানিয়েছেন তাঁদের বংশধরেরা। এমন চিত্রায়ণ তাঁদের ভাল লাগেনি। পাশাপাশি তাঁদের বিশ্বাস, ছবিতে তাঁদের পূর্বপুরুষদের যে ভাবে তুলে ধরা হয়েছে তা তাঁদের উত্তরাধিকারকে কলঙ্কিত করছে।
ছবিটি মুক্তির পর গণোজি এবং কানহোজি শির্কের ১৩তম বংশধর লক্ষ্মীকান্ত রাজে শির্ক চলচ্চিত্র নির্মাতাদের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘‘ঐতিহাসিক তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা।’’ হতাশা প্রকাশ করে তিনি জানান, এই চিত্রায়ণ তাঁর পরিবারের ঐতিহ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাঁরা ইতিমধ্যেই পরিচালককে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন। লক্ষ্মীকান্ত তাঁর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করার হুমকিও দিয়েছিলেন।
