সংবাদ সংস্থা মুম্বই: প্রায় এক দশক হতে চলল শাহিদ কাপুরের বিয়ের। দুই সন্তান-ও রয়েছে তাঁর। তবে দুই সন্তানের চিকিৎসা নিয়ে শাহিদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও, সেই বিষয়ে শেষ কথা বলেন তাঁর স্ত্রী মীরা-ই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই কথা ফাঁস করলেন খোদ শাহিদ।
শাহিদের মতে, "আদর্শ বিয়ে বলে কিছু হয় না। এই তকমাটাই খুব বিপজ্জনক। এটা বিশ্বাস করলে শেষমেশ হতাশ হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। বিয়ে নিয়ে এই বিষয়টাই প্রাথমিকভাবে মাথায় রাখা উচিত।"
আরও জানান, তিনি এবং তাঁর স্ত্রী দু'জন মিলে ঠিক করে নিয়েছেন, পরিবারের কোন বিষয়ে কে শেষ কথা বলবেন। তার অর্থ এই নয় যে অন্যজনের কথা কিংবা মতামত শোনা হবে না। নিশ্চয়ই হবে। গুরুত্ব দিয়েই শোনা হবে কিন্তু নির্দিষ্ট বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে যাঁর উপর প্রথম থেকেই ওই বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উদাহরণ হিসাবে বলি-তারকা জানান, যদি মীরা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন এবং তিনি বাড়িতে তখন যদি বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ে তিনি দেখভাল করেন। কিন্তু তাদের চিকিৎসার বিষয়ে যাবতীয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মীরা-ই।
কেন এরকম ব্যবস্থা? শাহিদের কথায়, " দুই সন্তানের সঙ্গে প্রথম থেকেই আমার তুলনায় অনেক বেশি সময় কাটিয়েছে মীরা। বিয়ের পর সাত-আট বছর আমি একটানা কাজ করে গিয়েছি। বাইরে থাকতে হতো প্রচুর। সেই সময় বাচ্চাদের দেখভাল, সামলানো সবটুকু মীরা করেছিল। ফলে ওদের ছোট্ট ছোট্ট ব্যাপারগুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ও। তাই ওদের বিষয়ে সমস্তটা ও ভাল জানে আমার তুলনায়। তাই এখন যদিও মীরা ফের বাইরে কাজ করা শুরু করেছে, তার মানে এই নয় বাচ্চাদের উপর আমার কথা-ই শেষ কথা। ওটা ওর বিভাগ। আমার মতামত নিশ্চয়ই গুরুত্ব পায়, কিন্তু এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ওর-ই বলডৎ হয়।"
