সংবাদ সংস্থা মুম্বই: বলিউডের মতো ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা ধরে রাখা খুব কঠিন। কারণ, প্রতিযোগিতার আবহে পান থেকে চুন খসলেই নিজের আসন হারানোর ভয় থাকে। পাশাপাশি আরও কঠিন এই ইন্ডাস্ট্রিতে আগে একটি পাকাপোক্ত জায়গা তৈরি করা। আর কেউ যদি ইন্ডাস্ট্রির বহিরাগত হন, তাঁর পক্ষে এই প্রতিযোগিতাটা আরও কতটা কঠিন হতে পারে, তা হিসাব করার জন্য খুব বেশি মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। অনিল কাপুরের পরিবার ছিল এমনই এক পরিবার। চার দশক পেরিয়ে আজও বলিউড দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন অনিল কাপুর এবং তাঁর দাদা প্রযোজক বনি কাপুর। বনির প্রযোজনাতেই ‘ওহ্‌ সাত দিন’ ছবিতে প্রথম মুখ্য চরিত্রে দর্শকদের সামনে আসেন অনিল কপূর। আজও তাঁর ইনিংস থেমে নেই। তবে জানেন কি মুম্বইয়ে যখন তাঁর পরিবার প্রথম এসেছিলেন, তাঁদের ঠাঁই হয়েছিল রাজ কাপুরের গ্যারেজে!  

 

অনিলের বাবা সুরিন্দর কাপুর সম্পর্কে ছিলেন রাজ কাপুরের বাবা পৃথ্বীরাজ কাপুরের তুতো ভাই। প্রথমবার পরিবার নিয়ে মুম্বইয়ের মতো শহরে এসে তাঁরা যখন উপস্থিত হন, শোনা যায় সেই সময় তাঁদের আশ্রয় দিয়েছিলেন রাজ কাপুরের পরিবার। তবে তাঁদের জায়গা নাকি কাপুর বাংলোর কোনও ঘরে হয়নি। হয়েছিল গাড়ি রাখার জায়গায়। অর্থাৎ সোজা কথায়, কাপুর পরিবারের গ্যারেজে! যদিও এই প্রসঙ্গে কোনওদিন কোনও কথা বলেননি অনিল অথবা রাজ কাপুরের পরিবারের কেউ-ই। ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলে এও শোনা যায়, কাপুর গ্যারেজে থাকার পর মুম্বইয়ের এক প্রান্তিক অঞ্চলে নিজের পরিবার নিয়ে চলে আসেন সুরিন্দর কাপুর। সেখানেই ছেলেবেলা ও কৈশোর কাটিয়েছেন অনিল-বনি-সঞ্জয়রা। 

 

যদিও এরপর বলিপাড়ায় অভিনেতা হিসাবে আকাশছোঁয়া সাফল্য পান অনিল। প্রযোজক হিসাবেও নিজের পাকাপোক্ত জায়গা করে নেন বনি কাপুরও। এর বহু বছর পর ২০০৭ সালে মুক্তি পাওয়া 'সাওয়ারিয়া' ছবিতে জুটি বেঁধে বলিউডে পা রেখেছিলেন অনিল-কন্যা সোনম কাপুর এবং রাজ কাপুরের নাতি রণবীর কাপুর। পরবর্তী সময়ে অ্যানিম্যাল ছবিতেও রণবীরের সঙ্গে অভিনয় করেছেন অনিল।