বিপাকে সলমন খান। আবারও আইনি জটিলতায় নায়ক। সম্প্রতি রাজস্থানের বিজেপি নেতা এবং হাইকোর্টের আইনজীবী ইন্দর মোহন সিং হানি সলমন খান এবং একটি পান মশলা ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, সলমনের প্রচার করা সেই পান মশলা ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন ভোক্তাদের বিভ্রান্ত করছে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে কোটা ভোক্তা আদালত সলমন এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার উদ্দেশ্যে নোটিশ জারি করেছে। আদালত উভয় পক্ষের কাছ থেকে জবাব চেয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে ২৭ নভেম্বর।
অভিযোগের মূল বিষয়
অভিযোগে বলা হয়েছে, বিজ্ঞাপনে পণ্যটিকে ‘জাফরানযুক্ত এলাচ’ ও ‘জাফরানযুক্ত পান মশলা’ হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা ভোক্তাদের বিভ্রান্ত করছে। আবেদনকারী দাবি করেছেন, জাফরানের বাজারমূল্য প্রায় প্রতি কেজি চার লক্ষ, তাই পাঁচ টাকার পণ্যে প্রকৃত জাফরান থাকা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, পান মশলা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং এটি মুখের ক্যানসারের অন্যতম প্রধান কারণ। হানির কথায়, “সলমন খান দেশের লাখো তরুণের আদর্শ। আমরা কোটার ভোক্তা আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছি এবং নোটিশ জারি হয়েছে। বিদেশে কোনও তারকা তামাকজাত বা ক্ষতিকর পণ্য প্রচার করেন না, অথচ ভারতে তারকাদের এই ধরনের পণ্যের বিজ্ঞাপনে দেখা যায়। আমি তাঁদের অনুরোধ করব যেন তাঁরা যুবসমাজের কাছে ভুল বার্তা না পাঠান।”
সলমনকে সেই ব্র্যান্ডের একটি এলাচজাত পণ্যের বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছে ঠিকই কিন্তু পান মশলারর কোনও বিজ্ঞাপনে তাঁকে দেখা যায়নি।
বর্তমানে সলমন টেলিভিশনের জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস ১৯’-এর সঞ্চালনা করছেন। শেষ ‘সিকান্দার’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন, যদিও তা দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। শিগগিরই তিনি তাঁর বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘ব্যাটেল অব গালওয়ান’-এ দেখা যাবে।
সম্প্রতি সলমনের চেহারা নিয়ে চর্চা ছিল তুঙ্গে। অনেকেই বলেছিলেন, আগের সেই ফিটনেস হারিয়েছেন অভিনেতা। তবে যাবতীয় নিন্দাকে তুড়িতে উড়িয়ে পেশীবহুল শরীরে সিক্স-প্যাক অ্যাবস আর সুডৌল বাইসেপের সলমন যেন নিজের সেই পুরনো অবতারে ফিরে গিয়েছেন। ৫৯ বছর বয়সেও আগের মতোই সুঠাম, পেশিবহুল ও এনার্জিতে ভরপুর ভাইজান। যা দেখে যেমন অবাক হয়েছেন ভক্তরা, তেমনই তাঁরা প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
এক সাক্ষাৎকারে সলমন জানিয়েছেন, “ফিটনেস মানে শুধু শরীর নয়, মনেরও যত্ন। নিজের শরীরকে ভালোবাসলে তবেই সেটি আপনাকে সাড়া দেবে।” আজকের তারুণ্যের জন্য সলমন যেন এক জীবন্ত প্রেরণা, যেখানে জিম নয়, বরং শৃঙ্খলিত জীবনই তাঁর সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। ফিটনেস, শৃঙ্খলা আর ধৈর্যের এই গল্পটাই যেন আজও সলমন খানের ব্র্যান্ড! ৫৯ বয়সে এসেও অপ্রতিরোধ্য, অদম্য, একদম ‘টাইগার’।
