'বিগ বস ১৯'-এর মঞ্চে ফের একবার কড়া মেজাজে সঞ্চালক সলমন খান। সপ্তাহান্তের পর্ব অর্থাৎ 'উইকেন্ড কা বার'-এ এসে তিনি ঘরের দুই সদস্য - সঙ্গীত পরিচালক আমাল মালিক এবং শেহবাজ বাদেশা-র উপর ক্ষোভ উগরে দেন। মূলত প্রতিযোগীদের প্রতি তাঁদের অসংযত আচরণে তীব্র ভর্ৎসনা করেন সলমন।
সলমান শুরুতেই আমাল মালিকের দিকে আঙুল তোলেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আমাল ঘরের মধ্যে একাধিকবার প্রতিযোগীদের প্রতি 'বেয়াদবি' বা অভদ্রতা দেখিয়েছেন। বিশেষত মালতি চাহারকে নিয়ে আমালের মন্তব্য এবং তাঁকে অসম্মান করার ঘটনা সলমনের নজরে আসে।
সলমন আমালকে জিজ্ঞাসা করেন, "ঘরের মধ্যে তুমি অন্যদের প্রতি যে ধরনের ভাষা ব্যবহার করছো, বাইরেও কি তুমি একই রকম আচরণ করো?" তিনি কঠোরভাবে আমালকে মনে করিয়ে দেন যে প্রতিযোগীদের বয়স, কাজের ক্ষেত্র এবং ব্যক্তিগত সম্মান ভুলে গিয়ে তিনি যে ব্যবহার করছেন, তা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু তাই নয়, ভাইজান তাঁকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই ধরনের অভব্যতা চলতে থাকলে গায়ক নিজের সম্মান এবং কেরিয়ারের ক্ষতি করবেন।
এরপরই সলমনের রোষের মুখে পড়েন শেহবাজ। আমাল মালিকের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা এবং আমালের সবরকম কাজের অন্ধ সমর্থন করার জন্য তাঁকে তীব্র কটাক্ষ করেন শো-এর সঞ্চালক। সরাসরি শেহবাজকে 'চামচা' বলে অভিহিত করেন সলমন। তাঁর কথায়, "শেহবাজ, তুমি তো দেখছি সব সময় আমালের পিছনে পিছনে ঘুরছো। ওর সব ভুল কাজকেও সমর্থন করছো। তোমার কি নিজের কোনও মতামত নেই? তুমি কেন ওর 'চামচাগিরি' করছো?" সলমন বোঝাতে চান যে শেহবাজ নিজের ব্যক্তিত্ব এবং খেলার কৌশল হারিয়ে কেবল আমালের ছায়া হয়ে উঠছেন, যা শোয়ের জন্য ক্ষতিকর।
ভর্ৎসনার শেষে দু'জনকেই কড়া সতর্কবার্তা দেন ভাইজান। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যে 'বিগ বস'-এর ঘর হল এমন একটি জায়গা, যেখানে প্রতিযোগীদের নিজেদের আচরণের জন্য জবাবদিহি করতে হয়। সঙ্গে হুমকির সুরে তিনি বলেন যে যদি তাদের আচরণে দ্রুত উন্নতি না হয় এবং তারা অন্যদের সম্মান দিতে না শেখে, তাহলে তিনি হয়তো নিজেই শো থেকে বের করে দেবেন। তাঁর কথায়, “এই ধরনের নেতিবাচক এবং অসম্মানজনক আচরণ 'বিগ বস'-এর ঘরে সহ্য করা হবে না।”
ধমক খাওয়ার পর আমাল ও শেহবাজ দু’জনেই নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন এবং সলমনের কাছে ক্ষমা চান। 'বিগ বস'-এর ঘরে যে শৃঙ্খলা ও সম্মানের ঊর্ধ্বে আর কিছু নেই, এই পর্বটি যেন চোখে আঙুল দিয়ে আরও একবার তা দেখিয়ে দিল।
