নিজস্ব সংবাদদাতা: জি বাংলার ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকের পাশাপাশি ‘কে প্রথম কাছে এসেছি’ ধারাবাহিকেও নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করছিলেন মানসী সেনগুপ্ত। তবে এইমুহূর্তে শুটিং সংক্রান্ত সব কাজ থেকে বিরতি নিয়েছেন তিনি। কারণ অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কাজ করাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, সেই কারণেই বাড়িতেই এখন সম্পূর্ণ বিশ্রামে রয়েছেন তিনি। স্বভাবতই কোনও ধারাবাহিকেই এখন দেখা যাবে না মানসীকে। তবে মা হওয়ার এক মাসের মধ্যেই আবার কাজে ফিরবেন তিনি। 

 

আর তিন মাস পরেই ভূমিষ্ঠ হবে মানসীর সন্তান।  যদিও অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই গত ছয় মাস চুটিয়ে শুটিং করে গিয়েছেন মানসী। অবশ্য বহু আগেই এই অভিনটেরি জানিয়েছিলেন, এবার তাঁর হাই-রিস্ক প্রেগন্যান্সি, চিকিৎসক বেড রেস্টে থাকতে বললেও সাবধানে শুটিং চালিয়ে যান তিনি। তবে মাঝে অসুস্থ হওয়ার কারণে এই কয়েক মাস কাজ থেকে বিরতি নিয়েছেন অভিনেত্রী। ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকে আর দেখা যাবে না তাকে। অন্যদিকে, এই ধারাবাহিকে মানসী অভিনীত চরিত্র ‘অহনা’কেও জেলে পাঠানো হয়েছে, সেই কারণে পরবর্তী কয়েক মাস আর দেখা যাবে না এই নেতিবাচক চরিত্রকে। 

 

‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকের অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। কাজ করেছেন মুম্বইতেও। হিন্দি ধারাবাহিক ‘বান্নি চাও হোম ডেলিভারি-তে অভিনয় করেছিলেন মানসী যা ছিল বাংলার খুকুমণি হোম ডেলিভারির রিমেক। এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর প্রথমবার ডেলিভারি ছিল হাই রিস্কের। মেয়ে হয়েছিল প্রিম্যাচিওর। তাই এবারে গর্ভের সন্তানের কথা মাথায় রেখে বিশেষ সাবধানতা নিতেই হচ্ছে তাঁকে । তবে যেহেতু সেটের সকলে সবরকম সুবিধা করে দিতে প্রস্তুত, তাই তখন সেরকম অসুবিধেয় পড়েননি তিনি।

 

 

তবে কাজ ছাড়া ভাল থাকতে পারেন না মানসী। অভিনেত্রীর কথায়, “দুটো শুটিং একসঙ্গে করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম, এখন চিকিৎসকের পরামর্শ মত সম্পূর্ণ বেড রেস্টে আছি। আমার প্রায় নড়াচড়া করাও বারণ। তবে মা হওয়ার এক মাসের মধ্যেই আমি কাজ শুরু করব। এখন আগের থেকে অনেকটাই ভাল আছি। বাড়িতে সব সময় শুয়ে রয়েছি।”