সংবাদ সংস্থা মুম্বই: শেয়ার বাজারে ভুয়ো প্রচার চালিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ঠকানোর অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ নিল সেবি (SEBI)। সদ্য ঘোষিত চূড়ান্ত রায়ে অভিনেতা আরশাদ ওয়ারসি, তাঁর স্ত্রী এবং ভাইকে এক বছরের জন্য শেয়ার বাজারে লেনদেন থেকে নিষিদ্ধ করেছে সেবি । শুধু তাই নয়, তিনজনকেই ৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের থেকে মোট ১.০৫ কোটি টাকা ফেরত আদায়ের নির্দেশও দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

 


ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে সাধনা ব্রডকাস্ট লিমিটেড(SBL)—যার এখন নতুন নাম ক্রিস্ট্যাল বিজনেস সিস্টেম লিমিটেড। অভিযোগ, এই সংস্থার শেয়ারের দাম কৃত্রিমভাবে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তোলা হয়েছিল, আর তার পেছনে ছিলেন এক ব্যক্তি, মনীশ মিশ্র, যিনি এই পুরো ষড়যন্ত্রের মূলচালক। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আরশাদ ও তাঁর পরিবার শেয়ার বাজারে 'স্ট্রাকচার্ড ট্রেডিং' চালিয়েছেন বলে দাবি সেবির।

 


সেবি জানিয়েছে, আরশাদ ওয়ারসির সঙ্গে মনীষ মিশ্রের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে দেখা গেছে—মনীশ নাকি আরশাদ, তাঁর স্ত্রী এবং ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে ২৫ লক্ষ টাকা করে ট্রান্সফার করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই চ্যাট থেকেই পরিষ্কার হয়েছে, পুরো পরিকল্পনা সম্পর্কে আরশাদ অবগত ছিলেন।

 


২০২৩ সালের ২৭ জুন সেবির সামনে নিজের জবানবন্দিতে আরশাদ স্বীকার করেন, শুধু নিজের অ্যাকাউন্টে নয়, তিনি স্ত্রী ও ভাইয়ের নামেও শেয়ার বাজারে ট্রেড করেছিলেন। যদিও তাঁরা দাবি করেছেন, স্টক মার্কেট সম্পর্কে তাঁরা একেবারেই নতুন, এবং মনীশ মিশ্রের ফাঁদে পড়েই তাঁদের এই বিপুল ক্ষতি হয়েছে। তবে সেবি সে ব্যাখ্যা মেনে নেয়নি।

 

এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল, তারকা মুখ দেখেই কেউ কেউ শেয়ার কিনে ফেলেন—কিন্তু তার ফল হতে পারে মারাত্মক। সেবি-র এই পদক্ষেপ শেয়ার বাজারে স্বচ্ছতা ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষায় এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।

 বলিউডি গ্ল্যামার হোক বা শেয়ার বাজার—ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হয় চড়া মূল্যেই! আরশাদ ওয়ারসির এই শাস্তি সেই বাস্তবেরই জ্বলন্ত প্রমাণ।