সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ৮২ বছর বয়সেও বলিউডের ‘শাহেনশাহ’ আজও একমেবাদ্বিতীয়ম। তিনি, অমিতাভ বচ্চন। প্রিয় অভিনেতাকে সামনে পেলে ভক্তের আবেগের স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ হয়। অমিতাভের জনপ্রিয়তা যে ভারত ও মহাসাগর পেরিয়ে বহু বছর আগেই পশ্চিম থেকে মধ্যপ্রাচ্য ছড়িয়ে গিয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে একবার নিজের দেশেই তাঁকে প্রায় ঈশ্বরের আসনে বসিয়ে ফেলা হয়েছিল, তা জানেন কি? রাজস্থানের জয়সলমীর অর্থাৎ যেখানে সত্যজিৎ রায় শুটিং করেছিলেন তাঁর বিখ্যাত ছবি ‘সোনার কেল্লা’, সেই অঞ্চলেই। অমিতাভ পা রাখতেই ঘটে গিয়েছিল এক অভাবনীয় ঘটনা! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই অজানা কথা-ই ফাঁস করলেন পরিচালক অপূর্ব লাখিয়া।
সেটা ২০০৩ সাল। গত বেশ কয়েক বছরে বৃষ্টি হয়নি রাজস্থানের জয়সলমীরে। মাটি হয়ে গিয়েছে আরও রুক্ষ, শুষ্ক। মরুভূমিও তার আশেপাশের অঞ্চলে আঁচড় কাটতে শুরু করেছে। এরকম আবহেই সেখানে অভিষেক বচ্চনকে নিয়ে ‘মুম্বই সে আয়া মেরা দোস্ত’ ছবির শুটিং সারছেন পরিচালক অপূর্ব লাখিয়া। একটি গ্রামে চলছে শুটিং। সেই সময়ে নয়া বছর অভিষেকের সঙ্গে উদ্যাপন করতে সেখানে গোটা সস্ত্রীক হাজির হয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। অপূর্বর কথায়, “আর এরপরেই ঘটে সেই অবিশ্বাস্য ঘটনা। অমিতজি আমাদের শুটিং সেটে পা রাখতেই কালো মেঘ ঘনিয়ে আসে গোটা আকাশ জুড়ে। শুরু হয়ে প্রলয়ংকারী ঝড়! এবং তারপরেই বৃষ্টি। আমি জানি, এ কথা শুনতে অবিশ্বাস্য লাগবে, কিন্তু...কিন্তু আমার মায়ের নামে দিব্যি কেটে বলতে পারি যে এই ঘটনা নির্জলা সত্যি! আমরা যখন শুট করছিলাম সেই অঞ্চলের নদীর জল তখন পুরো শুকিয়ে গিয়েছিল। আর অমিতজি আসার পর এত বানভাসি বৃষ্টি হল যে নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠল। ভাবা যায়! নিজের চোখে দেখেছি ভাই, অবিশ্বাস করি কী করে? আর তারপরেই শুরু আসল মজা।”
“গোটা ঘটনাটাই ছিল কাকতালীয়। কিন্তু এরপরেই অমিতাভ বচ্চনকে ঈশ্বরের প্রতিরূপ ভাবতে শুরু করেন সেখানকার মানুষ। প্রায় ৫০,০০০ মানুষ জড়ো হয়ে গিয়েছিল অমিতজির হোটেলের সামনে। সকলেরই ইচ্ছে, তাঁর পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেওয়ার। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিন-ই এই সংখ্যক মানুষ অমিতাভ-দর্শনের ইচ্ছে নিয়ে জড়ো হতেন সেই হোটেলের সামনে...”
