বলিউডে ডেবিউ করেছিলেন ‘দবং’ দিয়ে। সেই ছবিই তাঁকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এনেছিল। এবং সেই ছবি মুক্তির পরপরই সলমন ও গোটা খান পরিবারের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ পৌঁছেছিল অন্য মাত্রায়। ‘দবং’–এর পরিচালক অভিনব কাশ্যপ ফের ফুঁসে উঠেছেন। প্রতিদিনই সব বিস্ফোরক দাবি করছেন, সঙ্গে লাগামহীন মন্তব্য! মূলত তাঁর নিশানায় বলি-তারকা সলমন খান।
বলিউডের এক সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ও বিতর্কিত পরিচালক অভিনব কাশ্যপ, যিনি সুপারস্টার সলমন খান–এর সঙ্গে ‘দবং’ ছবির মাধ্যমে ঝড় তুলেছিলেন, ফের ছুড়লেন বিস্ফোরক অভিযোগ। কখনও প্রকাশ্যে সলমনকে ‘গুণ্ডা’ বলেছেন, কখনও সরাসরি ঘুষের ইঙ্গিত—অভিনবের প্রতিটি মন্তব্য এখন বলিউড মহলে আলোচনার কেন্দ্র।
১৩ সেপ্টেম্বর সলমন খান নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করেন অনুরাগ কাশ্যপের “নিশানচি” ছবির পোস্টার, যেখানে আছেন অনুরাগ কাশ্যপ, সোনাক্ষী সিনহা, এবং নবাগতা বেদিকা পিন্টো। হাসিমুখে শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুরাগের উদ্দেশ্যে সলমন লিখেছিলেন— “নিশানচির জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল ”
এই ভিডিও শেয়ার হতেই মনে হয়েছিল, অনুরাগের সঙ্গে টাইগার-এর সম্পর্কের অতীতের সমস্ত তিক্ততা হয়তো মুছে যাচ্ছে। কিন্তু না—অভিনব এবার সরাসরি এই প্রসঙ্গে ফের তোপ দাগলেন সলমনকে - “ওই গুণ্ডাই এখন হাঁটু গেড়ে ভিক্ষে চাইবে”

একটি পডকাস্টে অভিনব মন্তব্য করেন—“সলমনের কপালে লেখা আছে ও আমাদেরই পা চাটবে। আমি ওকে গুণ্ডা বলেছিলাম, আর এখন ও দেখাচ্ছে আমাদের কত বড় ভক্ত! যে অনুরাগকে তেরে নাম–এর সময় হয়রানি করেছিল, এখন তারই প্রশংসা করছে। কালকে হাঁটু গেড়ে ভিক্ষেও চাইবে।”
অভিনবের অভিযোগ আরও ভয়ঙ্কর। তিনি দাবি করেছেন— “আমার হোয়াটসঅ্যাপে একটা বিজ্ঞাপন আসে—বুর্জ খলিফার ৫০ তলায় ফ্ল্যাট, উপরে ক্লাবহাউস। যেন আমাকে চুপ করানোর জন্য এইসব অফার খোঁজা হচ্ছে। অনুরাগের ছবির প্রশংসাও করছে এই ভেবে যে ভাই হয়তো আমাকে বোঝাবে। আসলে এগুলো সব তোষামোদ করা হচ্ছে।”
২০১০ সালে অভিনব পরিচালিত দবং ছবি বক্স অফিসে মারকাটারি সাফল্যের মুখ দেখে। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজির পরবর্তী ছবি “দবং ২” ও “দবং ৩” ছবির পরিচালনার দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়নি। অভিনব এরপর কেবল “বেশরম” (২০১৩) ছবিটি পতিচালনা করেন, যেখানে ছিলেন রণবীর কাপুর। সেই ছবিটির ভরাডুবি হয় বক্স অফিসে। অন্যদিকে সলমনের দবং ফ্র্যাঞ্চাইজি হয়ে ওঠে তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম বড় সাফল্য।
অভিনব বহুবার অভিযোগ করেছেন, সলমন খান ও তার পরিবার নাকি তাঁর কেরিয়ারের সর্বনাশ করেছে। “তেরে নাম”–এর সময়ও অনুরাগ কাশ্যপকে হয়রানি করেছিলেন সলমন, দাবি অভিনবের। এবার আবার বোমা ফাটিয়ে বললেন, “ওরা আমাকে কিনতে চায়।”
এখন প্রশ্ন–
অভিনবের এসব অভিযোগ কি সত্যিই প্রমাণযোগ্য?
সালমান খানের দল বা পরিবার কি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া দেবে?
অনুরাগ কাশ্যপ কি ভাইয়ের এই মন্তব্যের পাশে দাঁড়াবেন, নাকি বিষয়টি এড়িয়ে যাবেন?
অন্য আরও এক সাক্ষাৎকারে অভিনব তীব্র ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছিলেন সলমনকে। মন্তব্য করেছেন ‘টাইগার’-এর চেহারা নিয়ে! অভিনবের কথায়, “শরীর ফোলাতে, মাংসপেশি সুডৌল করতে প্রচুর ইনজেকশন ব্যবহার করে সলমন! হাফ পুশআপ করে বোডি পাম্প হয়, আর ওর চার্বি–ওয়ার্বি ঠিক হয়। আমার মনে হয়, ইনজেকশন দিতেই বানানো শরীর। ও আসলে একটা বেলুন! ওর শরীরের সব হাড়–মাংস সব ঘেঁটে গিয়েছে। কিছুই আর ঠিকঠাক নেই। এদের বডি ডাবল শট, ফেস এডিট করে বসায়। আমার তো মনে হয়, প্রচুর ইনজেকশনস নিয়ে নিজের চেহারা তৈরি করেছে সলমন।” তাঁর আরও দাবি, সলমন নাকি ক্যামেরার সামনে নিজের পাম্প-আপ চেহারা দেখতে স্রেফ হাফ-পুশ আপ করেন। যেই একটু শক্ত হয়ে ফুলে ওঠে শরীর, ওমনি সব ছেড়েছুড়ে দেন।
