বড় পর্দায় তিনি দাপুটে। একের পর এক চরিত্রে মেলে ধরছেন নিজেকে। নিরীক্ষামূলক কাজ করে নামের পাশ থেকে সরিয়ে ফেলতে চাইছেন ‘নায়ক’ তকমা। কেরিয়ারের এক দশক পার করে ‘অভিনেতা’ হয়ে ওঠাই যেন এখন অঙ্কুশ হাজরার অন্যতম লক্ষ্য। তবে শুধু ছবি নয়, টেলিভিশনেও তিনি সমান জনপ্রিয়। একটি নাচের রিয়্যালিটি শোয়ের সঞ্চালনা করছেন। এবার আরও এগিয়ে গেলেন আরও এক ধাপ। সান বাংলার ‘লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ’-এর মাসিক ফিনালেতে অতিথি হয়ে আবির্ভাব।

দর্শকমহলে ভাল সারা ফেলেছে সুদীপ্তা চক্রবর্তী সঞ্চালিত এই রিয়্যালিটি শো। ‘লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ’-এ মূলত খেলতে আসেন মহিলারা। জয়ী হলে ভাঁড়ারে লাখ টাকা। অঙ্কুশের উপস্থিতিতে আরও উজ্জ্বল হবে মঞ্চ। উচ্ছ্বসিত অভিনেতাও। তাঁর কথায়,  “এই শো-এ আসতে পেরে খুব ভাল লাগছে। শো-এর লক্ষ্মীদের দেখে আমি সত্যি অনুপ্রাণিত হচ্ছি। বিনোদনের সঙ্গে একটা সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করছে এই শো। বেশ মজারও। সবাই খেলতে পারবেন, কঠিন নয় একেবারেই।  সুদীপ্তাদি পুরো জমিয়ে রেখেছে শো-টিকে। সুদীপ্তাদি আমার অভিনয়ের শিক্ষক। বহু সিনেমার জন্য সুদীপ্তদির কাছে আমি ওয়ার্কশপ করেছি। এই শো-তে এসে অনেকদিন পর সুদীপ্তাদির সঙ্গে দেখা হল। সব মিলিয়ে খুব ভাল লাগছে।”

সিজন ২-এর মাসিক ফিনালে হাসি-খেলায়-মজায় ভরপুর। ফিনালের বিজয়িনী পাবেন ২লাখ টাকা। সঙ্গে থাকছে লক্ষ্মীদের জীবন সংগ্রামের গল্প। সেই সব গল্প শুনবেন অঙ্কুশ। শুধু শুনবেন না গল্প, থাকছে অঙ্কুশের নাচের পারফরম্যান্স। নিজের ছবি জনপ্রিয় গান থেকে বলিউডি তাল, সবেতেই পা মেলাবেন অভিনেতা। ৩১ আগস্ট সন্ধ্যা ছ’টায় সান বাংলায় দেখা যাবে এই ফিনালে।

বাংলার সব মহিলারাই এই খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারেন অডিশনের মাধ্যমে। ‘লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ’ চারটে রাউন্ডে খেলা হয়। প্রতি রাউন্ডেই খেলার শেষে প্রতিযোগীদের জন্য থাকছে নগদ টাকার পুরস্কার। একেবারে ফাইনাল রাউন্ডে বিজয়িনীর জন্য থাকছে এক লক্ষ টাকার নগদ পুরস্কার।  প্রতি পর্বে তিনজন করে মহিলা প্রতিযোগী থাকেন। কাউকেই খালি হাতে ফিরতে হয় না।  সিজন ২ তে রয়েছে কিছু নতুন খেলা। আরও অনেক মজা। ‘টাকার খনি’, ‘বল ফেলতে টাকা কুলো’. এমন সব মজার খেলা সিজন ২-এ দর্শক দেখছেন। গোটা শোটি সঞ্চালনার দায়িত্বে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী।

‘লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ’ নিছক একটি নন ফিকশন শো নয়। মহিলাদের স্বপ্নপূরণের একটি সুযোগও বটে। তাঁদের স্বনির্ভর হবার ইচ্ছেকে আরও জোরালো করতেই সান বাংলার এই  উদ্যোগ।

ছোটপর্দায় ইতিমধ্যেই নিজের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করেছেন অঙ্কুশ। আরও একবার মুগ্ধতা ছড়াতে হাজির হবেন অভিনেতা। আপাতত তাঁর হাতে একগুচ্ছ কাজ। পুজোয় মুক্তি পেতে চলেছে ‘রক্তবীজ ২’। আগামী বছরের সরস্বতী পুজোয় বড় পর্দায় আসবে ‘নারী চরিত্র বেজায় জটিল’।