মুক্তির পর থেকেই ব্যাপক চর্চায় 'সাইয়ারা'। ছবিটি গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছে। শুধু তরুণ প্রজন্মকেই উত্তেজিত করেনি এই ছবি, বরং সব বয়সের দর্শকের মধ্যেই ছড়িয়ে দিয়েছে প্রেমের আগুন। বর্তমানে সিনেমাহলে গিয়ে সিনেমা দেখার অভ্যাস এবং ইচ্ছে দুই-ই হারিয়েছেন দর্শক। কবে ওটিটিতে আসবে পছন্দের ছবিটি সেই অপেক্ষায় দিন গোনেন অনেকেই। তবে এই হিসেবটা 'সাইয়ারা'র ক্ষেত্রে তেমনভাবে মেলেনি। পর্দায় 'কৃষ কাপুর' ও 'বাণী বত্রা'কে দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন দর্শক।
মোহিত সুরির পরিচালনায় 'সাইয়ারা' ছবিতে অহন ও অনিতের রসায়ন দেখে চোখ ফেরাতে পারেননি দর্শক। এবার এই জুটিকে খুব তাড়াতাড়ি ওটিটির পর্দায় পেতে চলেছেন দর্শক। মুম্বই সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ১২ সেপ্টেম্বর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাচ্ছে এই ছবিটি। এদিকে, বক্স অফিসে প্রায় ৫০০ কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে 'সাইয়ারা'। ছবির সাফল্য যেমন দর্শকের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, ঠিক তেমনভাবেই অহন ও অনিতের প্রেমের গুঞ্জনেও দারুণ কৌতূহল জেগেছে অনুরাগীদের মনে। পাপারাজ্জিদের দেখে লাজুক হাসি যতই হাসুক, নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে 'স্পিকটি নট' দুই তারকা।

ছবি মুক্তির আগে বা পরে তারকাদের অহন কিংবা অনিতকে প্রচারে যোগ দিতে দেখা যায়নি। তবে এবার ওটিটিতে মুক্তির আগেই মুম্বই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন ছবির দুই মুখ্য তারকা। সেখানে এসেই অনিত ফাঁস করলেন এক গোপন তথ্য। অভিনেত্রী জানালেন, শুটিংয়ের শেষ দিনে অহনকে জড়িয়ে ধরে অঝরে কেঁদেছিলেন তিনি।
চোখের জল আটকাতে পারেননি অহনও। অনিত বলেন, "শুটিংয়ের শেষ দিন খুব কষ্ট হচ্ছিল। আমরা ভাবছিলাম এক বছর ধরে যেভাবে দু'জন কাজ করেছি, একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছি, আর হয়তো সেরকম কিছু হবে না কোনওদিন। কিন্তু আমাদের কান্না থামাতে ছুটে এসেছিলেন প্রোডাকশনের সবাই। তাঁরা জানিয়েছিলেন, ছবির শুটিং শেষ মানেই আর দেখা হবে না তা নয়। এরপর প্রচারের জন্য অনেকবার একসঙ্গে হবে পুরো টিম। তবুও সেই সময় চোখের জল বাঁধ মানছিল না।"
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই অহন ও অনিতের প্রেমের গুঞ্জন সরগরম নেটপাড়া। সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছিল দু'জনের একটি ভিডিও। 'সাইয়ারা'র সাফল্যে মোহিত সুরি একটি পার্টির আয়োজন করেন। ছবির কলাকুশলী থেকে শুরু করে প্রচুর বলি তারকাদের সমাগম দেখা যায় ওই নৈশ পার্টিতে। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই উপস্থিত ছিলেন অহন ও অনিত। দু'জনকে একসঙ্গে পার্টিতে ঢুকতে দেখে অবাক হন অনেকে। এদিকে, আবার গোটা পার্টিতে একে অপরের সঙ্গ ছাড়েননি। অন্যদের সঙ্গে কথা বলার সময়ও অনিতকেই নাকি খুঁজছিল অহনের দুটি চোখ। লাজুক হাসিতে তাঁরা নাকি বুঝিয়ে দিয়েছেন নিজেদের সম্পর্কের অবস্থানের কথা।
