প্রায় পঁচিশ বছর আগে বি-টাউনে ডেবিউ করেছিলেন আমিশা প্যাটেল এবং হৃতিক রোশন। এতক্ষণে নিশ্চয়ই সকলেই বুঝে গিয়েছেন যে, কোন ছবির কথা বলা হচ্ছে! ঠিকই ধরেছেন, ছবির নাম ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’। স্বপ্নের মতো কেরিয়ার শুরু, প্রথম ছবিতেই বাজিমাত। বলিউডে প্রথম ছবিতেই বাজিমাত। ২০০০ সালে 'কহো না প্যায়ার হ্যায়' ছবি দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন। ছবিটি সুপারহিট, ছবির দৌলতে হৃত্বিক রোশনও রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠেন। সঙ্গে তিনিও পেয়েছিলেন জনপ্রিয়তা। সেই অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। কিন্তু তারপর?

একের পর এক ছবি মুখ থুবড়ে পড়ে বক্স অফিসে। ২০টিরও বেশি সিনেমা হয় ফ্লপ। ক্যারিয়ারে নেমে আসে ধস। যাঁর কাছে ছিল বলিউডের সমস্ত লাইমলাইট, তিনি ক্রমশ আড়ালে চলে যান। শুধু তাই নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও শুরু হয় বড় ধাক্কা।

 


'কহো না প্যায়ার হ্যায়' ছবিতে কোরিওগ্রাফির দায়িত্বে ছিলেন ফারাহ খান। সম্প্রতি এই ছবি ও ফারাহকে ঘিরে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন আমিশা। ফারাহ ও তাঁর রাঁধুনি দীলিপ সম্প্রতি আমিশার মুম্বইয়ের আবাসনে উপস্থিত হয়েছিলেন। তাঁদের ভ্লগে ধরাও পড়েছে সেই খবর। সেখানে পুরনো বন্ধু আমিশার সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনা হয় ফারাহর। তাঁদের কথোপকথনে উঠে আসে 'কহো প্যায়ার হ্যায়'র নানা অজানা কাহিনি। 

 

আরও পড়ুন: প্রেমে ধোঁকা দিয়েছিলেন অপূর্বা! 'রেবেল কিড'-এর 'গুণকীর্তন' ফাঁস করলেন প্রাক্তন প্রেমিক

 

কথা বলার মাঝে এক সময় আমিশা জানান যে, সেই সময় ফারাহর কাছ থেকে প্রচুর বকাঝকা শুনতে হতো তাঁকে এবং হৃতিককে।‌ সঙ্গে অভিনেত্রী এও জানান যে, ফারাহ নাকি তাঁদের মা-বোন তুলে গালাগালি দিতেও ছাড়তেন না। যদিও এই কথাটা নেহাতই মজার ছলে বলেছিলেন আমিশা। তবুও অভিনেত্রীর এই অকপট স্বীকারোক্তি রীতিমতো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

 

প্রায় ২৫ বছর আগে প্রথম বারের জন্য মুক্তি পেয়েছিল ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’। মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায়, ছবিটি সুপারহিট বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই ছবির হাত ধরে রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠেন হৃতিক-আমিশা। এই ছবিটি তাঁর জীবন কীভাবে বদলে দিয়েছিল, এক সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেছিলেন আমিশা। অভিনেত্রী কথায়, “সাধারণ ছেলে-মেয়ে থেকে আমরা রাতারাতি তারকা হয়ে উঠেছিলাম। রোহিত আর সোনিয়াও যেন জাতীয় ক্রাশ হয়ে গিয়েছিল। এটা একটা সাধারণ ছবি ছিল না। মানুষ এই চরিত্র দুটিকে গ্রহণ করেছিলেন। আমি তো বহু দিন ধরে এর মধ্যেই ডুবে ছিলাম। আমি জানি না, কীভাবে এটা হল। বিষয়টা বেশ অলৌকিক ছিল।”

 


এরপর যদিও সাফল্যের মুখ সেভাবে দেখেননি অভিনেত্রী। তবে আজ এতকিছুর মধ্যেও আমিশা প্যাটেলকে দেখলে বোঝার উপায় নেই তিনি কত ঝড় পেরিয়ে এসেছেন। সদা হাস্যোজ্জ্বল, আত্মবিশ্বাসে ভরপুর তিনি। ‘গদর ২’ ছবির দৌলতে আবারও বলিউডে নিজের জায়গা ফিরে পেয়েছেন তিনি। তাও দীর্ঘ ২২ বছর পর!

 

এই বিষয়ে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি কোনওদিন হাল ছাড়িনি। লড়াই করেছি—ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও, নিজের জীবনেও। এখন আমি ফিরে এসেছি, আরও শক্তভাবে।” বলিউডে যেখানে অনেক তারকাই হেরে যান, সেখানে আমিশা প্যাটেলের এই প্রত্যাবর্তন নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণাদায়ক।