টিনসেল টাউনে খবর অফুরান। বিনোদনের সমস্ত খবর জানতে যদি চান, চোখ রাখুন নজরে বিনোদনে। জেনে নিন সারাদিনের গরমা গরম খবর কী?
আমালের স্বীকারোক্তি
শুরু হয়ে গিয়েছে টেলিভিশনের জনপ্রিয় শো 'বিগ বস ওটিটি ১৯'। সেখানে বহু তারকা প্রতিযোগীর সঙ্গে রয়েছেন সুরকার আমাল মালিক ও। আর এবার 'বিগ বস'র ঘরে এসে মনের কথা সাফ জানালেন সঙ্গীতশিল্পী আমাল মালিক। তিনি বলেন, "শ্রদ্ধা কাপুর আমার স্কুলের সিনিয়র ছিলেন। আমার ক্রাশ ছিলেন শ্রদ্ধা কাপুর। আমার সিনিয়র ছিলেন। ও খুবই ভাল মনের মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রদ্ধার ভক্তসংখ্যা দেখার মতো। তাতে কোনও ফাঁক নেই।" আমাল আরও বলেন, "শ্রদ্ধার 'স্ত্রী' ছবিতে একটি অংশ রয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে গাড়ি করে এসে সবাইকে প্রহার করতে শুরু করে এবং সেই দৃশ্য দেখে গোটা সিনেমা হল রীতিমতো হাততালিতে ফেটে পড়েছিল। এটা ছিল আমারও পছন্দের অংশ ওই ছবি থেকে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সুরকার আমাল বলিউডের অন্দরের গোপন কেচ্ছা ফাঁস করেন। তাঁর কথায় উঠে আসে স্বজনপোষণের দিকও। তাঁর বক্তব্যে তিনি স্পষ্ট করেন যে, সুশান্ত সিং রাজপুতের যে পরিণতি হয়েছিল, কার্তিক আরিয়ানেরও একই পরিণতি করার চেষ্টা করেন অনেকে। সেই নিয়ে অনেক জলঘোলা হলেও বর্তমানে বিতর্কের আড়ালে আমাল।
সলমনের গণপতি আরাধনা

মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করে এগিয়ে চলেছেন সলমন খান। লরেন্স বিষ্ণোই নিশানায় থাকলেও কখনওই ভেঙে পড়তে দেখা যায়নি বলিউডের 'ভাইজান'কে। এবার ভগবানের কাছে আরাধনায় মগ্ন হলেন তিনি। প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরও গণেশ চতুর্থীর দিন সলমন খানের পরিবারে খুশির জোয়ার। সদস্যদের সাথে গণেশ চতুর্থী উদযাপনে মাতলেন ভাইজান। অভিনেতার মা হিন্দু, সেলিম খানকে বিয়ের সময় ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন সলমনের মা। তবে ছোট থেকেই বাড়িতে সর্বধর্ম সমন্বয়ের পরিবেশেই বেড়ে উঠেছেন সেলিম পুত্র। সবধর্মের প্রতিই সমান শ্রদ্ধাশীল সলমনের গোটা পরিবার। এই বছর বোন অর্পিতা খান শর্মার বাড়িতে গণেশ বন্দনায় অংশ নিয়েছেন সলমন। গণপতি বাপ্পার আরাধনায় একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেতা।
আরও পড়ুন: ‘বিতর্ক শুনতে এসেছেন?’ গোবিন্দার সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জনের মাঝেই ঝাঁঝিয়ে উঠলেন সুনীতা, কারণ কী
কেমন আছেন রাশেশ কেশব?
মালায়ালম অভিনেতা, লেখক ও জনপ্রিয় টেলিভিশন উপস্থাপক রাজেশ কেশব বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায়। রবিবার সন্ধ্যায় কোচির ক্রাউন প্লাজা হোটেলে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সময় হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে মঞ্চেই তিনি পড়ে যান। মাত্র ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে ৪৯ বছর বয়সী কেশবকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতাপ জয়লক্ষ্মী জানান, "তিনি পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। জরুরি ভিত্তিতে তার অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয় এবং বর্তমানে ভেন্টিলেটরের সাহায্যে তাকে জীবিত রাখা হয়েছে। মাঝেমধ্যে সামান্য নড়াচড়া ছাড়া এখনও কোনও সাড়া দিচ্ছেন না।" হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার শারীরিক অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক এবং আগামী ৭২ ঘণ্টা পরেই তার সুস্থতা সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব হবে। প্রতাপ জয়লক্ষ্মী আরও উল্লেখ করেছেন যে, হৃদরোগের কারণে কেশবের মস্তিষ্কে আংশিক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাঁকে এই মুহূর্তে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে বলে খবর।
