'বিগ বস ১৯'-এর হাউজ সম্প্রতি তর্কের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। বিষয়? স্বজনপোষণ বা আজকালকার চলতি ভাষায় নেপোটিজম। আর এই বিষয়ে জোর তর্ক চলে গায়ক অমল মালিক এবং অভিনেতা গৌরব খান্নার মধ্যে। সেখানেই নিজের স্বপক্ষে যুক্তি খাড়া করতে গিয়ে অমল তাঁর বাবা, অর্থাৎ বলিউডের জনপ্রিয় কম্পোজার ডাবু মালিককে একজন 'ব্যর্থ মানুষ' বলে দেগে দেন! শুধু তাই নয়, তিনি নিজেকে রিভার্স নেপোটিজমের ফসল বলেও আখ্যা দেন। কিন্তু তাঁর এই কথা মোটেই ভালভাবে নেয়নি নেটপাড়া। তাঁরা রীতিমত ক্লাস নিয়েছেন গায়কের। চরম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে।
ঠিক কী ঘটেছে? 'বিগ বস ১৯' এর সাম্প্রতিক একটি পর্বে দেখা গিয়েছে অমল মালিক একটি তর্কে জড়িয়ে পড়েন, যার বিষয় ছিল স্বজনপোষণ, বলিউডের ইনসাইডার এবং আউটসাইডার। অভিনেতা গৌরব খান্না বলেন যে সবাইকে এখন কঠিন পরিশ্রম করতে হয়। তবে যাঁদের ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে কোনও না কোনও যোগ রয়েছে তাঁরা বহিরাগতদের তুলনায় অনেক সহজে কাজ পান। অভিনেতার কথায়, 'যেখান থেকে তোমাদের লড়াই শুরু হয়, ওটা আমাদের আকাঙ্ক্ষা।' এর জবাবেই অমল বলেন, 'যেমন ভাবে একজন সাধারণ মানুষ মেহবুব স্টুডিওর বাইরে অপেক্ষা করেন, ঠিক তেমন ভাবেই আমার মা আর ভাইও অপেক্ষা করেছে। কোনও ফারাক নেই।'
যদিও গৌরব তাঁর যুক্তিতে জানিয়েছেন, অমলের পরিবারের পরিচিতির জন্যই তিনি সহজে সলমন খানের সঙ্গে দেখা করতে পেরেছিলেন। সেখানে বহিরাগত কেউ হলে, তাঁর অন্তত ২০ বছর লেগে যেত এই এক সুযোগ পেতে। তবে এই কথা একেবারেই মানতে চাননি অমল। তাঁর মতে সব শিল্পীকেই একই রকম স্ট্রাগল করতে হয়। গৌরব তাঁর যুক্তিতে অনড় থাকেন। তিনি বারংবার বুঝিয়ে দেন যাঁদের ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে কোনও না কোনও যোগ রয়েছে তাঁদের জন্য বিষয়টা অনেক সহজ হয় বহিরাগতদের তুলনায়।
এরপরই অমল তাঁর ভাই আরমানের কথা বলতে শুরু করেন, জানান তাঁকে কতটা লড়াই করে আজকের এই জায়গায় পৌঁছতে হয়েছে। তার জবাবে গৌরব এবং মালতী দুজনেই বলেন যে তাঁরা তাঁদের পরিবারের লড়াইকে অস্বীকার করছেন না, কিন্তু খালি তাঁদের যে বাইরের কারও তুলনায় একটু হলেও বেশি সুযোগ বা সুবিধা পেয়েছেন প্রথম ব্রেকের জন্য সেটাই বলতে চাইছেন।
আর এই তর্কেই একটা সময় অমল মালিক বলে ফেলেন, 'আমার বাবাকে অনু মালিক কোনও সাহায্য করেননি। আমরা রিভার্স নেপোটিজমের ফসল। আমার বাবা ডাবু মালিক একজন ব্যর্থ মানুষ, আর সেটা মেনে নিতে আমার কোনও সমস্যা নেই। আমার বাবা ব্যর্থ।' তাঁর এই কথাই ভালভাবে নেয়নি নেটমাধ্যম। বাবাকে এই ভাবে অপমান করায় তাঁকে রীতিমত তুলোধনা করেছেন নেটিজেনরা। এক ব্যক্তি লেখেন, 'নিজের বাবাকে এভাবে জাতীয় টিভিতে অপমান করা কোনও বাহাদুরির কথা নয়।' কেউ আবার লেখেন, 'আপনি জাস্ট অসহ্য। নিজের সাফল্যকে প্রমাণ করতে বাবাকে ব্যর্থ বলে দেগে দিতেও ছাড়লেন না। ছিঃ!'
প্রসঙ্গত, 'জয় হো' ছবির হাত ধরে ২০১৪ সালে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন অমল মালিক। সলমন খানের ছবির মাধ্যমে কাজ শুরু করেন তিনি। এরপর তিনি 'অল ইস ওয়েল', 'হিরো', 'এয়ারলিফট', ইত্যাদি ছবিতে কাজ করে নিজের জায়গা পাকা করেছেন বলিউডে।
