তেলেঙ্গানা ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (TGFDC)-এর চেয়ারম্যান এবং প্রযোজক দিল রাজু সম্প্রতি ‘পুষ্পা ২’ মুক্তির সময় স্ট্যাম্পিডে গুরুতর জখম হওয়া শিশু শ্রীতেজের বাবা ভাস্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে ভাস্কর অভিযোগ করেছিলেন, আল্লু অর্জুন ও তাঁর টিম অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তার আবেদনগুলিতে কোনও সাড়া দিচ্ছেন না। দিল রাজু জানিয়েছেন, এখন বিষয়টি মিটে গিয়েছে এবং গত এক বছরে আল্লু অর্জুন কীভাবে পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছেন সেটিও তিনি ব্যাখ্যা করেছেন।

আল্লুর টিমের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক ভিডিওয় জানানো হয়, অভিনেতা ইতিমধ্যেই শ্রীতেজের পরিবারকে ৩.২০ কোটি টাকা দিয়েছেন, যার মধ্যে ১.৫ কোটি টাকা শিশুটির নামে স্থায়ী আমানত হিসাবে রাখা হয়েছে।

ভিডিওয় দিল রাজু বলেন, “আল্লু অর্জুন দু’কোটি টাকা দিয়েছেন, এবং আমরা এমনভাবে তা বিনিয়োগ করেছি যাতে পরিবারটি মাসে প্রায় ৭৫ হাজার টাকা পায়। এই অর্থ মূলত তাদের দৈনন্দিন খরচ এবং চিকিৎসার জন্যই দেওয়া হয়েছিল, যার সুদও প্রতিবছর যোগ হবে।”

তিনি আরও জানান, চিকিৎসা এবং শ্রীতেজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য অতিরিক্ত ৭০ লক্ষ টাকার মতো ব্যয় করা হয়েছে। “শিশুটি এখন সুস্থতার পথে। তবে ভাস্কর আরও কিছু সহায়তা চেয়েছেন। আমি তাঁকে আশ্বস্ত করেছি— অরবিন্দ গারুর সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ভাস্করও ভিডিওয় জানান, ঘটনার পর থেকে আল্লু এবং তাঁর পরিবার পাশে ছিলেন, তবে বর্তমানে ছেলের পুনর্বাসনের জন্য অতিরিক্ত সহায়তা প্রয়োজন। আগের দিন তিনি দাবি করেছিলেন যে অভিনেতার টিম আর সাড়া দিচ্ছেন না, কিন্তু পরে তিনি আশ্বস্ত হন যে শ্রীতেজের চিকিৎসার পুরো খরচ বহন করা হবে।

তিনি বলেন, “আমার ছেলের ছ’মাসের পুনর্বাসনের জন্য যে অতিরিক্ত সহায়তা দরকার, তা দিল রাজু গারুকে জানিয়েছিলাম। এখন সেটি অনুমোদিত হয়েছে— আল্লু অর্জুন রাজি হয়েছেন। যেভাবে চিকিৎসকরা সুপারিশ করেছেন, তাঁরা সেভাবে চিকিৎসার সব খরচই বহন করবেন।” এই সময় দিল রাজু তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেন, “শুধু ছ’মাস নয়, এক বছরও লাগলে আমরা পাশে থাকব।”

২০২৪ সালের ৪ ডিসেম্বর হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’–এর প্রিমিয়ারকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ স্ট্যাম্পিডের ঘটনা ঘটে। এতে রেবতী নামক নারীর মৃত্যু হয় এবং তাঁর ৮ বছরের ছেলে শ্রীতেজ গুরুতর আহত হয়। আল্লু থিয়েটারে পৌঁছনোর পরই হুড়োহুড়ি শুরু হয়। বহুজন আহত হন। অভিনেতা, তাঁর টিমের কয়েকজন এবং থিয়েটার কর্তৃপক্ষকেও এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে তাঁরা জামিনে মুক্তি পান। ঘটনার পরই আল্লু এবং তাঁর বাবা শ্রীতেজের জন্য আর্থিক সহায়তার ঘোষণা করেন।