নেটফ্লিক্সে সম্প্রচারিত হল ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’–এর তৃতীয় সিজনের ফাইনাল এপিসোড। সিজনের শেষ পর্বে সম্প্রতি অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন অক্ষয় কুমার। তাঁর বহুচর্চিত ছবি ‘জলি এলএলবি ৩’ মুক্তির পরপরই কপিলের মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন অক্ষয়।

মঞ্চে উপস্থিত একঝাঁক স্টান্টম্যানদের দিকে তাকিয়ে হৃদয়মথিত আবেগে অক্ষয় বলে উঠলেন —“আমার কাছে আসল নায়ক এঁরাই। ওঁদের জন্যই আমি আজকের জায়গায় পৌঁছেছি।” আবেগের সেই মুহূর্তে স্টান্টম্যানরাও ফাঁস করলেন বহু বছরের এক গোপন তথ্য— প্রচারের আড়ালে অক্ষয় নাকি চুপচাপ তাঁদের জন্য কাজ করে চলেছেন বহু বছর ধরেই। তিনি ব্যক্তিগতভাবে নাকি প্রত্যেক স্টান্টম্যান ইউনিয়ন সদস্যের লাইফ ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম পরিশোধ করেন।

আরও পড়ুন: ‘কল্কি ২’ ছাড়তেই দীপিকার বিরুদ্ধে ফিরল ‘চরম অপেশাদারিত্বের’ পুরনো অভিযোগ! কী বলেছিলেন ‘রেস ২’-র ‘অসম্মানিত’ প্রযোজক?

 

এছাড়াও হাসি-ঠাট্টায় জমে উঠল কপিলের শো-এর আপাত অন্তিম পর্ব। আবেগের পাশাপাশি কমেডির রঙও ছিল টগবগে। কপিল শর্মা খোঁচা দিলেন অক্ষয়কে—“তুমি তো সব সময় সময়নিষ্ঠ, আজ এত দেরি করলে কেন?” পাল্টা অক্ষয়ের মজার জবাব— “আরে, আগে পেমেন্টই তো পাইনি!”

 

খুনসুটি চলল আরও—কপিল মজা করে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন, অক্ষয়ের এত বিশাল ফিল্মোগ্রাফি প্রতিভার ফল না কি প্রয়োজনের? অক্ষয়ও পাল্টা কটাক্ষে পিছিয়ে থাকলেন না—“তোর শো নেটফ্লিক্সে তিন সিজন ধরে চলল, তোর অভিনীত দুটো ছবিও এল, এখন আবার ক্যাফেও খুলে ফেললি... এবার বল, তোর প্রতিভা বেশি না কি প্রয়োজন?”

 

এরপর দর্শকদের জন্যও অপেক্ষা করে ছিল দুর্দান্ত চমক। এই পর্বে জমকালো রূপে হাজির হন কিকু শারদা, হেরা ফেরির বাবুরাও সেজে। কৃষ্ণা অভিষেকও মেতে ওঠেন সুনীল শেট্টির নকল করে। তাঁদের কাণ্ডকারখানা দেখামাত্রই হাসিতে ফেটে পড়েন দর্শক।

২১ জুন নেটফ্লিক্সে শুরু হওয়া এই সিজনে একে একে হাজির হয়েছেন বলিউড তারকা ও ক্রিকেটাররা—সলমন খান, সিদ্ধার্থ মালহোত্রা, জাহ্নবী কাপুর, পরিণীতি–রাঘব, অজয় দেবগণ থেকে শুরু করে গৌতম গম্ভীর, ঋষভ পন্থ প্রমুখ। ২০ সেপ্টেম্বর অক্ষয়-পর্ব দিয়েই শেষ হল ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’ সিজন ৩। অ্যাকশন–ইমোশন–হাসি—সব মিলিয়ে অক্ষয়ের উপস্থিতি ফাইনালকে করে তুলল একেবারে ব্লকবাস্টার।

 

 

সম্প্রতি, বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছে অক্ষয়ের বহুল প্রতীক্ষিত ছবি জলি এলএলবি ৩। মুখোমুখি এবার দুই ‘জলি’—অক্ষয় কুমার ও আরশাদ ওয়ার্সি। আর সঙ্গে রয়েছেন চিরচেনা বিচারপতি সৌরভ শুক্লা, যিনি আবারও নিজের ধৈর্য হারাতে হারাতে দর্শকদের হাসির রসদ জোগালেন। ছবিতে দেখা গেল চেনা কোর্টরুমের কৌতুক-ঝড়। তবে হাসি–ঠাট্টার আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে তীক্ষ্ণ সামাজিক সুর—এক কৃষকের সঙ্গে ক্ষমতাশালী রাজনীতিকের লড়াই। নৈতিকতা বনাম ফাঁকফোকরের খেলায় কে জিতবে, সেই দড়ি টানাটানি নিয়েই তৈরি হয়েছে ছবির কেন্দ্রবিন্দু।