নিজের শর্তে জীবনযাপন করেছেন। তাঁর জীবনে সাফল্য যেমন রয়েছে তেমনই রয়েছে একাধিক গুঞ্জন। তিনি প্রাক্তন ব্রহ্মাণ্ডসুন্দরী সুস্মিতা সেন। মাত্র ২৪ বছর বয়সে মা হয়েছেন। তাঁর দুই কন্যা সন্তান। দু'জনকেই দত্তক নেন সুস্মিতা। কিন্তু একাধিক প্রেম সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি।
 
 অভিনেত্রী সুস্মিতা সেনের বড় মেয়ে রেনে সেনের সাম্প্রতিক ছবিগুলি দেখে বিস্মিত ভক্তরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর কিছু নতুন ছবি ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের দাবি—রেনের চেহারা আশ্চর্যজনকভাবে মিলে যাচ্ছে প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেত্রী স্মিতা পাটিলের সঙ্গে। অনেকের মতে, ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে যেন স্মিতা পাটিলই নতুন করে ফিরে এসেছেন।

রেনের জন্মদিনে মা সুস্মিতা সেন ইনস্টাগ্রামে কয়েকটি পুরনো ছবি পোস্ট করেন। সঙ্গে লিখেছিলেন—“শুভ জন্মদিন আমার প্রথম ভালবাসা। ঈশ্বরের দেওয়া সেই অমূল্য উপহার, যেটি আমার জীবনটাই বদলে দিয়েছে তুমি। তোমার জন্য আমার একটাই প্রার্থনা—যতটা ভালবাসা তুমি দাও, তার থেকেও বহুগুণ ভালবাসা যেন ফিরে পাও।’’

 
 তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘তোমার সব স্বপ্ন পূরণ হোক। এ বছরটা শুধু তোমার। আমি তোমার জন্য গর্বিত, চলো জীবনকে উদযাপন করি। তুমি শুধু সেরা মেয়ে নও, সেরা দিদিও।’’মায়ের এই আবেগঘন পোস্টের পর থেকেই রেনে আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন।
রেনে বর্তমানে অভিনয় এবং থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত। ২০২০ সালে তিনি ‘সুট্টাবাজি’ নামের একটি শর্ট ফিল্মে অভিনয় করেন, যেখানে তাঁর পারফরম্যান্স বেশ প্রশংসিত হয়। পাশাপাশি ভিকি কৌশলের একটি ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। ধীরে ধীরে তিনি নিজের আলাদা পরিচয় তৈরি করছেন, যদিও এখন বেশি আলোচিত তাঁর চেহারার সঙ্গে স্মিতা পাটিলের অদ্ভুত মিল।
 
 সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের প্রতিক্রিয়া ছিল চমকপ্রদ। কেউ লিখেছেন, “রেনে যেন স্মিতা পাটিলের নতুন অবতার।” আবার কারও মন্তব্য, “ছবিগুলো দেখে আলাদা করে চিনতে কষ্ট হয়—কে রেনে আর কে স্মিতা।” নেটিজেনদের এমন প্রতিক্রিয়ায় আরও বেশি আলোচনায় উঠে আসেন রেনে।
উল্লেখ্য, সুস্মিতা সেন ২০০০ সালে রেনে-কে দত্তক নিয়েছিলেন। তখন সামাজিক এবং আইনি নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। আদালতের জটিলতা, কটাক্ষ—সবকিছু সামলে তিনি একাই মেয়েকে নিজের জীবনে এনেছিলেন। পরে ২০১০ সালে ছোটমেয়ে আলিশাকেও দত্তক নেন। মায়ের সাহস আর ভালবাসার ফলেই আজ রেনে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলতে পারছেন।
সব মিলিয়ে রেনে সেন এখন কেবল সুস্মিতা সেনের কন্যা নন, বরং নিজের প্রতিভা ও ব্যক্তিত্বে আলোচনায়। আর সাম্প্রতিক ছবিগুলিতে তাঁর চেহারায় স্মিতা পাটিলের ছায়া দেখে দর্শক যেমন অবাক, তেমনি উচ্ছ্বসিতও। তাঁদের আশা, ভবিষ্যতে রেনে যদি অভিনয়ে নিয়মিত হন, তবে স্মিতা পাটিলের মতোই এক শক্তিশালী অভিনেত্রী হিসেবে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, তবে সুস্মিতা নিজে যেমন আদর্শে বিশ্বাসী মেয়েদেরকে সেই শিক্ষাই বড় করেছেন। তাই যৌনতা নিয়েও তেমন কোনও লুকোছাপা নেই মা মেয়েদের মধ্যে। এক সাক্ষাৎকারে সুস্মিতা বলেন, ‘'মেয়েদের আলাদা করে যৌনতার পাঠ দিতে হবে না। ওরা এই বিষয়ে অনেকটা এগিয়ে। আমার ছোট মেয়ে আবার শারীরবিদ্যায় ভীষণ আগ্রহ।’’
সুস্মিতা আরও বলেন, ‘‘ আমি ওদের কি বলি কারও কথা শুনে কিছু করতে হবে না। কোনও ধরনের প্রভাবের কারণে কিছু করেছো মানে তুমি ভুল করছ। যদি কোনও কিছুর ইচ্ছে হয় মন থেকে, তবে সেই কাজ কর। আর যাই কর আমাকে মিথ্যা বলো না।’’
