নিজস্ব সংবাদদাতা: গত বছর সকলকে চমকে দিয়ে প্রেম দিবসে আইনি বিয়ে সেরে ফেলেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। বিয়ের সাড়ে ৮ মাসের মাথায় তাঁদের কোল আলো করে আসে প্রথম কন্যা সন্তান কৃষভি। আপাতত তাকে ঘিরেই দম্পতির সুখের সংসার। আর তাই এবছর প্রথম বিবাহবার্ষিকী জমিয়ে সেলিব্রেট করলেন কাঞ্চন ও শ্রীময়ী।
তাঁদের প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে বাড়িতে ডেকে 'ট্রিট' দিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। অভিনেত্রীর সান্নিধ্যে আপ্লুত শ্রীময়ী। সমাজমাধ্যমে ঋতুপর্ণার সঙ্গে কাটানো সুন্দর মুহূর্তের একগুচ্ছ ছবি ভাগ করে শ্রীময়ী লেখেন, "চলার পথে আমার আঠাশ বছরের যাত্রায় বেশ কিছু মানুষের সাথে আলাপ হয়েছে, মানুষ চিনেছি ,মানুষ দেখেছি, বিশ্বাস করুন কাল রাতের পর অবাক হয়ে গিয়েছি যে মানুষ এরকমও হয়। আমরা তো জীবনে কিছু করলাম কী করলাম না, তার আগেই নিজেদেরকে স্টার ভাবতে ,সুপারস্টার ভাবতে, মেগাস্টার ভাবতে শুরু করে দিই। মানুষকে অহংকার দেখাতে শুরু করি। কিন্তু ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত মানুষটিকে দেখে এখনও শেখার আছে।"
শ্রীময়ী আরও লেখেন, "আমার সঙ্গে একদিন এক অনুষ্ঠানে আলাপ হয়েছিল, সেখান থেকে আমাদের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়, বন্ধুত্ব, হ্যাঁ বন্ধুত্বই বলব, কারণ আমার থেকে বয়সে বড় হলেও, বন্ধুত্বের সম্পর্কের আগে কোনও সম্পর্কই হয় না। এবং তারপর ঋতুপর্ণা কাল আমাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকীর ট্রিট দিলেন ওঁর বাড়িতে। বুঝতেই পারলাম না যে কীভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে গেল। কখন যে রাত দু'টো বেজে গেল শুধু আড্ডা মারতে গিয়ে তা যেন আমরা বুঝতেই পারলাম না। কাঞ্চন আর ঋতুদির কথোপকথন শুনে কারণ আমার তো কোন যোগ্যতাই নেই ওঁদের অভিনয় নিয়ে কথা বলার। ওঁদের শিক্ষা, ওঁদের অভিজ্ঞতার কাছে আমি একজন নগণ্য। দু'জন শিল্পী নিজেদের কাজ ,ভাল সিনেমা,ভাল সংলাপ, ভাল ছবির জাতীয় পুরস্কার পাওয়া নিয়ে কথা বলতে বলতে, নিজেদের অভিনয় করা পুরনো ছবি দেখে স্মৃতিচারণ করে ওঁদের দু'জনের চোখে জল চলে এল। হয়তো একেই বলে শিল্পী।"
শ্রীময়ী লেখেন, "এত সুন্দর মন থেকে,আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের খাওয়ালেন, আমার ওঁর ব্যবহারেই অর্ধেক পেট ভরে গিয়েছিল। কিন্তু খাবার মেনুটা বলতেই হবে, লুচি, ছোলার ডাল, বেগুন ভাজা, বাঁধাকপির তরকারি, চিংড়ির মালাইকারি ,ভাত, মাটন ,দই কাতলা ,কুলের চাটনি, পাটিসাপটা, রসমালাই ,মিষ্টি সব কিন্তু বাড়িতে বানানো। একসঙ্গে খুব ভাল সময় কাটালাম,সময়টা সারা জীবন আমার স্মৃতিতে থাকবে।"
