সংবাদ সংস্থা মুম্বই: স্বাভাবিক নিয়মেই পৃথিবীতে এসেছে নতুন নতুন প্রজন্ম। যুগ বদলেছে, প্রতিটি প্রজন্মের সঙ্গে অল্প অল্প করে বদলেছে বিভিন্ন সম্পর্কের সমীকরণের রসায়নও। নব্যা নভেলি নন্দা সম্পর্কে নাতনি হলেও তাঁর সঙ্গে জয়া বচ্চনের সম্পর্ক বন্ধুসুলভ। তার সঙ্গে মোটেই মিশে থাকে না কড়া দিদিমসুলভ আচরণ। নাতনিকে যেমন ডেটে যাওয়ার টিপ্স দেন, তেমনই সম্পর্কে শরীরের গুরুতেও কতটা, সেই বিষয়েও খুল্লম খুল্লা পরামর্শ দিতেও পিছপা হন না দিদিমা জয়া। নব্যার পডকাস্ট 'হোয়াট দ্য হেল নব্যা'তে লম্বা সম্পর্কে সহবাসের গুরুত্বর কথা বলতে গিয়ে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, একটা সময়ের পর শুধুই হৃদয় মথিত ভালবাসায় প্রেম টেকে না।
ওই পডকাস্ট জয়া জানিয়েছিলেন, আজকের প্রজন্মের মতো তাঁদের সময়ে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকারা তেমনভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পারত না। বর্ষীয়ান অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদের মতে, শারীরিক ভালবাসা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। “আমার মুখ থেকে এসব কথা শুনলে হয়ত অনেকের খারাপ লাগতে পারে কিন্তু শারীরিক মিলনের তৃপ্তি যে একটি প্রেমের সম্পর্ককে আরও মজবুত করে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আমাদের সময় এই ব্যাপারগুলোর পরীক্ষা নিরীক্ষা সেভাবে করতে পারতেন না যুগলরা। কিন্তু এই প্রজন্মের যুগলরা কিন্তু করেন...আর করবেন না-ই বা কেন? লম্বা সম্পর্ক রাখতে হলে শরীরকে গুরুত্ব দিতেই হবে। যদি সম্পর্কে শারীরিক ভালবাসা না থাকে তাহলে কিন্তু সেই সম্পর্ক বেশিদিন টেকার নয়। সম্পর্ক সুস্থভাবে টিকিয়ে রাখতে হলে শুধুমাত্র গদগদ প্রেম, টাটকা বাতাস এবং মানিয়ে নেওয়া দিয়ে চলবে না।” তবে এর পাশাপাশি নাতনিকে জয়া আরও পরামর্শ দেন যে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা থাকার দরুণও যদি কোনও সম্পর্ক না টেকে, তাহলে দুই পক্ষকেই ঠান্ডা, ধীরস্থিরভাবে তার সমাধান খুঁজতে হবে।
এখনই শেষ নয়, নাতনিকে বিয়ে নিয়েও পরামর্শ দিয়েছেন জয়া। বলেন, “প্রিয় বন্ধুকে বিয়ে করা উচিত। যদি তোমার প্রিয় বন্ধু কেউ থাকে, তার সঙ্গে আলোচনা করতেই পারো এই বিষয়ে। তাকে বলতেই পারো, ‘তুমি একজন ভাল মানুষ তাই আমি তোমাকে পছন্দ করি, তোমার সন্তানের মা হতে চাই…’ তুমি যদি তাকে বিয়ে না করে তার সন্তানের মা হতে চাও, তাতেও বিন্দুমাত্র কোনও সমস্যা নেই আমার।”
